নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৪ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
এবার তারেক জিয়াকে ‘খামোশ’ বললেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নির্বাচন থেকে সরে আসা নিয়ে বিএনপির শীর্ষ দুই নেতার বাদানুবাদের একপর্যায়ে তারেককে ধমক দেন বিএনপি মহাসচিব।
তারেক জিয়া গতকাল টেলিফোনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নির্বাচন বর্জনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা কখন দেবেন জানতে চান। তারেক জিয়া তাকে সব প্রার্থীকে ঢাকায় নিয়ে আসারও নির্দেশ দেন। নির্বাচন বর্জনের ব্যাপারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। তিনি তারেক জিয়াকে সাফ জানিয়ে দেন এখন নির্বাচন বর্জন সম্ভব না। ৩০ ডিসেম্বরে নির্বাচনে যে ফলাফলই হোক সেটা বিএনপির জন্য মঙ্গলজনক হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি বিরোধী দল হিসেবে সংসদে গেলেও অনেককিছু অর্জন করবে। আর এখন নির্বাচন বর্জন করলে কিছুই পাবেনা।’ তারেক জিয়া এ সময় মির্জা ফখরুলকে বলেন, ‘নির্বাচন বর্জন করে আন্দোলন করলে লাখো মানুষ রাস্তায় নামবে। তখন সরকারের পতন সম্ভব হবে।’ তারেক জিয়ার এই চিন্তাকে বিএনপি মহাসচিব ‘হাস্যকর’ এবং ‘আকাশ কুসুম’ চিন্তা বলে মন্তব্য করেন। এসময় ক্ষুব্ধ তারেক বিএনপি মহাসচিবকে জিজ্ঞেস করেন আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কত পেয়েছেন? এসময় ফখরুল ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘খামোশ। ফালতু কথা বলবেন না। কী মনে করেন নিজেকে? লন্ডন থেকে এসব উদ্ভট পরিকল্পনা না বলে আমাদের কাজ করতে দিন।’ এই বলে ফোন কেটে দেন ফখরুল।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/এমআর
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।