নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৬ জানুয়ারী, ২০১৯
সংসদে তাঁদের স্থান নেই। নানা মেরুকরনে তাঁরা একাদশ জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছিলেন। সে সময় তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে দল ক্ষমতায় আসলে দল ক্ষমতায় আসলে তাঁদের মূল্যায়ন করা হবে। এদের প্রত্যেকেই আশায় বুক বেধেছিলেন। হয়তো নতুন মন্ত্রিসভায় তাঁদের স্থান হবে। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দুজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং আব্দুর রহমান মনোনয়ন পাননি। দলের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম এবং বি. এম. মোজাম্মেল মনোনয়ন বঞ্চিত হন। এদের গণভবনে ডেকে নিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদেরকে নির্বাচন পরিচালনা এবং সারাদেশে নির্বাচন কার্যক্রম মনিটরিং এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর সান্তনায় এরা বেশ চাঙ্গা হয়ে ওঠেন। নির্বাচন কালীন সময়ে এরা ছিলেন বেশ তৎপর। এদের নিয়ে গুঞ্জন ছিলো, এদের কেউ হয়তো টেকনোক্র্যাট কোঠায় মন্ত্রী হবেন। কিন্তু প্রথম দফায় যে ৪৬ জনের তালিকা প্রকাশ হয়েছে, যে সব মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীরা কাল সোমবার শপথ নেবেন, তাতে দলের এই ত্যাগী এবং মনোনয়ন বঞ্চিত শীর্ষ নেতারা নেই। ৪৬ সদস্যের মন্ত্রিসভায় সংবিধান অনুযায়ী ৪ জন অনির্বাচিত মন্ত্রী হবার সুযোগ আছে। সংবিধান অনুযায়ী টেকনোক্র্যাট কোটায় এক-দশমাংশ অনির্বাচিত সদস্যকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়। সদ্য ঘোষিত মন্ত্রিসভায় টেকনোক্র্যাট কোঠায় মন্ত্রী করা হয়েছে মাত্র দুজনকে। দুজন অনির্বাচিত ব্যক্তিকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ থাকলেও, তা করা হয়নি।
মনোনয়ন বঞ্চিতদের মন্ত্রিসভায় না নেয়া প্রসঙ্গে একাধিক রকম বক্তব্য পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগ এবারের নির্বাচনে অবিশ্বাস্য জয় পেয়েছে। এতো বিপুল সংখ্যক নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বাদ দিয়ে অনির্বাচিত কয়েকজন মনোনয়ন বঞ্চিতদের মন্ত্রিত্ব দেয়া ভুল বার্তা দিতে পারে। সাধারণ মানুষের মধ্যে এরকম একটি ধারণা হতেই পারে যে, রাজনীতি মানে কিছু প্রাপ্তি। রাজনীতি মানে যে কেবল পাওয়া না পাওয়ার হিসেব নয়, সে ধারণা ভাঙ্গতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে।
অন্য একটি সূত্র বলছে, বিপুল বিজয়ের আতিশায্যে প্রায়ই সংগঠন দুর্বল হয়ে পরে। তাই সংগঠনকে শক্তিশালী এবং সচল রাখতেই মনোনয়ন বঞ্চিত দুই যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এবং একজন সংসদ সদস্য যুগ্ন সাধারন সম্পাদককে (মাহবুবুল আলম হানিফ) মন্ত্রিসভা থেকে দূরে রাখা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের আরেকটি পক্ষ বলছে, এটা মন্ত্রিসভার প্রথম ভাগ। নারী সংসদ সদস্য নির্বাচনের পর মন্ত্রিসভার কলেবর বৃদ্ধি হবে। ২০০৮ সালেও ওবায়দুল কাদের মন্ত্রী হয়েছিলেন পরে। ২০১৪তেও মন্ত্রীসভা বর্ধিত করা হয়েছিল। সংসদ অধিবেশন এবং নারী সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর মন্ত্রিসভার কলেবর বাড়ানো হবে, তখন এদের কেউ কেউ বিবেচনায় আসবেন। মন্ত্রিসভার কলেবর যে বাড়বে তা বোঝা যায় সদ্য ঘেষিত মন্ত্রিসভার বিন্যাস থেকেই। এখানে ৯ টি মন্ত্রণালয়ে পুর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেয়া হয়নি। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে কোন মন্ত্রীই দেয়া হয়নি। তাই মন্ত্রীসভার পুর্ণাঙ্গ অবয়ব দেয়ার সময় এরা বিবেচনাতে আসতেও পারে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি ড. মঈন খান
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।
অবশেষে জিয়া পরিবার মুক্ত হচ্ছে বিএনপি। বিএনপির রাজনীতিতে একটি বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে ঠিক কবে, কখন, কীভাবে এ পরিবর্তন হবে সে সম্পর্কে কেউ কোন সুনির্দিষ্ট ধারণা দিতে পারেনি। তবে বেগম খালেদা জিয়া বিএনপিতে পরিবর্তনের ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছেন।