নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১০ জানুয়ারী, ২০১৯
মন্ত্রিসভার পর এবার মহিলা সংসদ সদস্য মনোনয়নে বড় চমক আসছে। দশম জাতীয় সংসদের অধিকাংশ মহিলা সংসদ সদস্যই এবার মনোনয়ন পাচ্ছেন না বলে আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। এবার আওয়ামী লীগ এবং ১৪ দলের মহিলা সংসদ সদস্য হবেন ৪৪ জন। দশম জাতীয় সংসদের চেয়ে একজন বেশি। গত সংসদে আওয়ামী লীগ ১৪ দলের জাসদকে একটি এবং ওয়ার্কাস পার্টিকে একটি করে মহিলা আসন দিয়ে বাকি আসনগেুলো নিজেদের জন্য রেখেছিল। ৪১ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে মহিলা সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবার ৪২ জন আওয়ামী লীগের এবং ২ জন শরিকদের মধ্যে থেকে দেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। গতবার মহিলা সংসদ সদস্য নির্বাচনে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা প্রবীনদের প্রাধান্য দেয়া হয়েছিল। এবার মনোনয়নের ক্ষেত্রে দলের তরুনদের প্রাধান্য দেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে,‘ এবার আওয়ামী লীগের মহিলা আসনগুলো তারকা সমৃদ্ধ হতে পারে। তাছাড়া প্রাক্তন ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং দলীয় কাজে সক্রিয়দের প্রাধান্য দেয়া হবে একটি সূত্র জানিয়েছে।
বিগত সংসদের মধ্যে থেকে অধিকাংশ বাদ পরলেও কয়েকজনের থাকাটা নিশ্চিত। এদের মধ্যে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম (মহিলা আসন -১৬)। শহীদ মেজর জেনারেল (অব:) খালেদ মোশারফের মেয়ে বেগম মাহজাবীন খালেদ (মহিলা আসন-১৮), কাজী জাফর উল্লাহর স্ত্রী বেগম নীলুফার জাফর উল্লাহ (মহিলা আসন- ২৫), ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি (মহিলা আসন-৩০) আবার মনোনয়ন পেতে পারেন বলে আভাষ পাওয়া গেছে। বেশ ক’জন তারকা এবার মহিলা আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। এদের মধ্যে কয়েকজনের মনোনয়ন দেয়া হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছেন, শমী কায়সার। তিনি ফেনীর একটি আসন থেকে মনোনয়ন চেয়ে পাননি। শমী ছাড়াও অভিনয় এবং নাট্যাঙ্গনের আরো কয়েকজনের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। বর্তমানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে থাকা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মারুফা আক্তার পপি মহিলা আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন। এছাড়াও কার্যনির্বাহী কমিটির আরো দু-একজনকে মহিলা সংসদ সদস্য করার জন্য বিবেচনায় রাখা হয়েছে। আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে, মহিলা সংসদ সদস্য পদে কয়েকজন নারী সাবেক আমলাকেও বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, এবার মহিলা সংসদ সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় বিবেচনা করা হবে। প্রথমত; দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার এবং দলীয় অনুগত্য, দ্বিতীয়ত; তাঁর যোগ্যতা এবং সংসদ সদস্য হিসেবে কীভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। তৃতীয়ত; বঞ্চিত এলাকা। যেসব এলাকা থেকে গতবার নারী সংসদ সদস্য হয়নি, সেইসব এলাকাকে প্রাধান্য দেয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অবশ্য বলেছেন, ‘মহিলা এমপিদের বিষয়ে এখনও আমাদের দলে আলোচনা হয়নি। নির্বাচন কমিশন তফসিল দিলে মনোনয়ন বোর্ড নিয়ে কাজ শুরু করবে।‘ তবে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এনিয়ে হোম ওয়ার্ক শুরু করেছেন।’
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয় বলে দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য’ বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।
বিবৃতিতে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ক্ষমতা বিএনপি
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।