নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১১ জানুয়ারী, ২০১৯
৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজয়ী হয়েছে। গত এক দশকে যে উন্নয়ন হয়েছে দেশে, জনগণ সেই উন্নয়নের পক্ষেই রায় দিয়েছে। এই নির্বাচনে বিএনপি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভরাডুবি হয়েছে। এসবই আমাদের জানা এবং নির্বাচনে পরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গঠিত মন্ত্রিসভা একটা চমক সৃষ্টি করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বার বার বলছেন যে, বিজয় মিছিল করা যাবে না, অতি উৎসাহ দেখানো যাবে না, আমরা যেন আতিশায্যে না ভুগি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভাতেও তিনি বলেন, আগামী পাঁচ বছর সরকারের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আমাদেরকে কঠিন পরিশ্রম করতে হবে। যেদিন মন্ত্রিসভা গঠন হয়, তার পরের দিন প্রধানমন্ত্রী দলের ওয়ার্কিং কমিটি এবং মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মন্ত্রীদের তিনি কঠিন নজরদারিতে রাখবেন।
দেখা যাচ্ছে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটা রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন্য এবং পরবর্তী ধাপে উত্তরণের জন্য সংগ্রামের জন্য তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এখানে আনন্দ-আতিশায্য করার কোন সুযোগ নেই। একই সঙ্গে মন্ত্রিত্বটা কোন আরাম আয়েশের জায়গা নয়। মন্ত্রিত্ব দেশের জন্য দায়িত্ব পালন এবং কঠিন প্ররিশ্রমের জায়গা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবগঠিত মন্ত্রিসভাকে সেভাবেই বার বার ব্রিফ করছেন। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা চেতনার সঙ্গে সঙ্গতি নেই এক শ্রেণীর মানুষের। ৭ জানুয়ারি মন্ত্রিসভা গঠনের পরদিন থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, গণমাধ্যমগুলো তোষামোদির বিজ্ঞাপনে ভাসছে। বিভিন্ন ধরণের নানা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন। যে যেভাবে পারছে এই বিজ্ঞাপনগুলো দিচ্ছে। এগুলো জনবিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবাক করা বিষয় কিছু কিছু সরকারী প্রতিষ্ঠানও এই বিজ্ঞাপন দেওয়ার কাতারে নিজেদেরকে শামিল করেছে।
একজন মন্ত্রী নিয়োগ পান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায়। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে একটি সুনির্দিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে নিয়োগ দান করেন। এখানে অভিনন্দন জানানোর কিছু নাই। হ্যাঁ অভিনন্দন জানানো যেতে পারে, যখন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী তাঁর মন্ত্রণালয়ে কাজের ক্ষেত্রে সফল হবেন। তাঁর দায়িত্ব পালনের জন্য দেশবাসীর কাছে প্রশংসিত হবেন। একজন মন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়াটা তাঁর রাজনৈতিক অঙ্গীকারের একটি অংশমাত্র। কিন্তু আমাদের গণমাধ্যমগুলোতে যেভাবে একের পর এক বিজ্ঞাপনের বাহার, সেই বিজ্ঞাপনের বাহার দেখে আমরা শঙ্কিত, আমারা উদ্বিগ্ন। আমরা মনে করি অনতিবিলম্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে নির্দেশনা দিয়ে, এই বিজ্ঞাপনের আতিশায্য বন্ধ করা প্রয়োজন। না হলে যারা এবারের মন্ত্রিসভার স্থান পেয়েছেন তাঁদের অধিকাংশই নতুন, তাঁরা পথ হারাবেন। কারণ যে কোন তোষামোদ এবং অতি প্রশংসা একটা মানুষকে বিভ্রান্ত এবং বিপথগামী করে তোলে। তাঁকে সঠিক মূল্যায়নের পথে বাধার সৃষ্টি করে।
এই যে তাদেরকে অভিনন্দন জানানো হচ্ছে, তাঁদেরকে বিভিন্ন প্রশংসার বাণীতে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে এর ফলে তাঁরা মনে করবেন তাঁরা অনেক কিছুই পেয়ে গেছেন, অনেক কিছুই করে ফেলেছেন মন্ত্রী হয়ে। কিন্তু মন্ত্রী হওয়া মানে কোন কিছু পাওয়া না, যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার বলেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিভিন্ন সময় বলেছেন। মন্ত্রিত্ব হলো একটা কঠিন দায়িত্ব, জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্যে একটা অগ্নিপরীক্ষা। কোন শিক্ষার্থীকে কি পরীক্ষা হলে অবতীর্ণ হলেই অভিনন্দন জানানো হয়? হয় না। তাহলে কী কারণে মন্ত্রিসভার সদস্যদের শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানিয়ে পত্রিকার পাতা ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে? পত্রিকায় তাকালেই দেখা যায় মন্ত্রীদের বিভিন্ন অভিনন্দন বাণী, বিভিন্ন প্রশংসাসূচক বাক্যবাণে মন্ত্রীদের ভিজিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মন্ত্রীদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে এটি একটা বড় বাধা বলে আমরা মনে করছি। কারণ এর ফলে মন্ত্রীরা আত্মসমালোচনা করতে পারবেন না, কারও সমালোচনা শুনতে পারবেন না। তাঁরা মনে করবেন, তাঁরা অনেক কিছু পেয়ে গেছেন।
আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি যাদের উপর এইসব অভিনন্দন বার্তা দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন পত্রপত্রিকার পাতা ভরে। মন্ত্রীদের স্বউদ্যোগে অথবা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে অনতিবিলম্বে এই ধরণের আতিশায্যের বিজ্ঞাপন বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন। নাহলে জনমানুষের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হচ্ছে, সাধারণ মানুষ এই বিজ্ঞাপনগুলো পছন্দও করছেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের ক্ষমতায়নের রাষ্ট্র দর্শনে বিশ্বাসী। তাঁর এ রাষ্ট্র দর্শন জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। কাজেই জনগণের ক্ষমতায়নে যিনি বিশ্বাসী তাঁকে মুষ্টিমেয় কিছু গোষ্ঠী নিজেদেরকে ‘আওয়ামী লীগার’ প্রমাণের জন্য এমন বিরাট বিরাট বিজ্ঞাপন দিয়ে ভিন্ন কোন মতলব হাসিল করতে চায় বলেই আমাদের ধারণা। কাজেই আমাদের বিনীত অনুরোধ অবিলম্বে বন্ধ হোক এই আতিশায্যের বিজ্ঞাপন, এই তোষামোদির বিজ্ঞাপন।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয় বলে দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য’ বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।
বিবৃতিতে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ক্ষমতা বিএনপি
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।