নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ১২ জানুয়ারী, ২০১৯
আওয়ামী লীগের তিন সিনিয়র নেতা, যারা ৯৬’র সরকারের মন্ত্রিত্ব পেয়েছিলেন এবং তিনজনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ। কিন্তু এরপর আর কখনই মন্ত্রী হতে পারেননি। এদের মধ্যে যার নাম সবার আগে আসে তিনি হলেন শেখ ফজলুল করিম সেলিম। শেখ সেলিম ৯৬ সালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়ও বটে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যের দায়িত্ব পালন করছেন এবং আওয়ামী লীগের অন্যতম নীতিনির্ধারক বলা হয়। ১/১১’র সময় উনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। নির্যাতিত হয়েছিলেন। তারপর থেকে তিনি এমপি হয়েছেন। প্রত্যেকবার যখনই মন্ত্রিসভা গঠন হয়, তখন তাকে নিয়ে আলোচনা হয় যে তিনি হয়তো মন্ত্রী হচ্ছেন। কিন্তু তিনি আর শেষ পর্যন্ত মন্ত্রী হতে পারেননি। আওয়ামী লীগ হ্যাটট্রিকবার সরকার গঠন করলো। তিনিও হ্যাটট্রিক করলেন, তবে সেটা মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত না হয়ে।
তিনজনের আরেকজন হলে আবদুল মতিন খসরু। ১৯৯৬ সালে তিনি আইন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তার হাত ধরেই কলঙ্কজনক ইন্ডিপেন্ডেন্ট অধ্যাদেশ বাতিল হয়। পুরস্কৃতও হন আবদুল মতিন খসরু। আইন প্রতিমন্ত্রী থেকে তিনি আইন মন্ত্রী হিসেবে পদোন্নতি পান। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরুর ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারপর ২০০৮ সাল থেকে আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বার সরকার গঠন করেছে। দলে তার পদোন্নতি হয়েছে। দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েছেন তিনি। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তিনি আর কখনই মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হননি। যখনই আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন হয়, প্রতিবারই তার নাম আলোচনায় আসে। কিন্তু টানা তৃতীয়বারের মতো তিনি মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে ব্যর্থ হলেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী ১৯৯৬ সালে যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতিও ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতাচ্যূত হয়, তখন তাকে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু ১/১১’র পর থেকেই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয় এবং তারপর থেকেই তিনি দলের মধ্যে কোনঠাসা এবং আড়ালে চলে গেছেন। যদিও ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর তাকে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের সভাপতির জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরও বরফ গলেনি। শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সম্পর্ক এখনও স্বাভাবিক নয়। যার প্রমাণ পাওয়া যায় তৃতীয়বারের মতো তিনি মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হতে ব্যর্থ হলেন।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।