নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০৩ পিএম, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৯
একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের জন্য আগামী মঙ্গলবার থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানাচ্ছে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে মহিলা সংসদ সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে যোগ্যতার মাপকাঠি চূড়ান্ত করেছেন। এ বিষয়ে তিনি এবং তার নিজস্ব টিম কাজ করছেন।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন মানদণ্ড দেখে মহিলা আসনের প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করবেন এবং সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এটা নিয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু এসব আসনের জন্য যে সব নারী প্রার্থী বিভিন্ন নেতার কাছে তদবির বা ধর্না দেবেন তারা অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন এবং তাদেরকে বাদ দেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে স্পষ্ট করে বলেছেন যে, মহিলা আসন নিয়ে কোন ধরনের তদবির, কোন ধরনের মনোনয়ন বাণিজ্য বা দেন-দরবার সহ্য করা হবে না। তিনি বলেন যে, আমরা রাজনীতিতে নারীদের আরও সক্রিয় করতে চাই। তাদের কাজের যোগ্যতা, তাদের অতীতের ভূমিকা এবং তারা দায়িত্ব পালনে কতটুকু কার্যকর হবেন তা বিবেচনা করে মহিলা আসনের জন্য প্রার্থী বিবেচনা করা হবে।
এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব টিম কাজ করছেন বলে জানা গেছে। একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তারা প্রণয়ন করেছেন। প্রতিবারই নারী আসনের মনোনয়নের জন্য নানা রকম অনিয়ম তৈরি হয়। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বিভিন্ন নেতার কাছে ধর্না দেন, তদবিরে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এটার ফলে দলের বদনাম হয় এবং ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। এটি বন্ধের জন্য প্রধানমন্ত্রী এবার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, যারাই এটা নিয়ে তদবির এবং ধর্না দেবে তারাই মননোয়নের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন। এর ফলে আওয়ামী লীগ দলের চাহিদা অনুযায়ী যারা যোগ্য, যাদেরকে দল মূল্যায়ন করতে চায় তাদেরকেই মনোনয়ন দেয়া সম্ভব হবে বলে মন করছে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।