নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৯
প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা এবং জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ এমপি। জাপা চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের একগুয়েমী সিদ্ধান্তের কারণেই এ কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন রওশন এরশাদ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রওশনপন্থী এক সংসদ সদস্য বলেন, এরশাদ উইল করে জিএম কাদেরকে পার্টির পরবর্তী চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা নিয়েই যত বিপত্তি। তাঁর মতে, এরশাদের জীবদ্দশায় বেগম রওশন এরশাদই পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান হিসেবে দ্বিতীয় ক্ষমতাপ্রাপ্ত নেতা। পার্টির প্রত্যক্ষ রাজনীতির নিয়ন্ত্রক বেগম রওশন এরশাদ থাকবেন এটাই গঠণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত। জাপার একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে জাপা চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের চরম অবজ্ঞার কারণেই রাজনীতি থেকে নির্বাসনে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এরশাদ পত্নী বেগম রওশন এরশাদ। আর এসব বিষয়ে এরশাদও অনেকটা নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছেন। বিভিন্ন সূত্র দাবী করছে, এরশাদ আর কোনভাবেই চান না তাঁর স্ত্রী জাপার রাজনীতিতে ক্ষমতাবান হোক। তাদের মতে, দশম জাতীয় সংসদে এরশাদকে যেভাবে নাকানী-চুবানি দিয়ে বেগম রওশন এরশাদ বিরোধী দলীয় নেতা হয়েছিলেন সে স্মৃতি এরশাদ মন থেকে কিছুতেই ভূলতে পারছেন না। তাদের মতে, পার্টি চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ একটি মধুর প্রতিশোধ নিলেন রওশন এরশাদের উপর।
এদিকে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে অনেকটা পর্দার অন্তরালে চলে যান রওশন এরশাদ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এরশাদ নিজেকে বিরোধী দলীয় নেতা এবং সহোদর জিএম কাদেরকে উপনেতার ঘোষণা দেবার পর চরম বিক্ষুব্দ হন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ। তবে বেশ কয়েকজন এমপি বেগম রওশন এরশাদকে রাজনীতিতে সক্রিয় করার জন্য জোরালো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। রওশনপন্থী নেতারা মনে করেন, তাদের দলের চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ যে কোন মুর্হুতে তার সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেন। তাছাড়া এরশাদকে চাঁপে রাখার কৌশল হিসেবে বেগম রওশন এরশাদকে চাঙ্গা রাখারও ইচ্ছে কতিপয় সংসদ সদস্যর। বিভিন্ন সূত্র জানায়, বেগম রওশন এরশাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করলেও সরকারের পক্ষ থেকে এখনো তাঁকে কোন গ্রীন সিগন্যাল দেয়া হয়নি। এদিকে, সংসদে এরশাদ এবং জিএম কাদেরকে বিরোধী দলীয় নেতা এবং উপনেতা হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছেন স্পীকার।
এদিকে, জাপা চেয়ারম্যান শারিরীক অসুস্থ্যতাজনিত কারণে বর্তমানে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উন্নততর চিকিৎসার জন্য খুব সহসাই আবারো তিনি সিঙ্গাপুরে যাবেন।
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।