নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ২১ জানুয়ারী, ২০১৯
জামাত ছাড়া ২০ দলের অধিকাংশ শরীকদের খুঁজে পাচ্ছেন না নজরুল ইসলাম খান। তিনি ২০ দলের সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। নির্বাচনের পর ২০ দলের একটিমাত্র বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং সেখানে এই নির্বাচনকে প্রত্যাখান করা হয়েছিল। এরপর ২০ দলের বৈঠক ডাকার জন্য বেগম খালেদা জিয়া কারাগার থেকে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের মাধ্যমে নির্দেশ দিয়েছেন। লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও অনতিবিলম্বে ২০ দলের বৈঠক ডাকতে বলেছেন।
কিন্তু গত চারদিন নিরন্তর চেষ্টা করেও নজরুল ইসলাম খান ২০ দলের নেতাদের টিকিটি ধরতে পারেননি। তিনি আজ দলের মহাসচিবকে জানিয়েছেন যে, ২০ দলের নেতারা নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন। এই বৈঠকের ব্যাপারে একমাত্র জামাতের আগ্রহ আছে এবং তাদের সঙ্গে বিএনপির নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। কিন্তু ২০ দলের শরীক অন্য দলগুলোর অধিকাংশকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যাদেরকে পাওয়া যাচ্ছে তাদেরও এই বৈঠকের ব্যাপারে কোন আগ্রহ নেই।
২০ দলের শরীক নেতারা বলছেন, ‘আপনারা নিজেরাই আগে ঠিক হন। ঐক্যফ্রন্ট রাখবেন না ২০ দল রাখবেন? ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে ২০ দলের সম্পর্ক কী রকম হবে সেগুলো আগে সুরাহা করেন। আমরা গোপন নাকি প্রকাশ্য প্রেমিক সেটা পরিস্কার করেন। তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব, ২০ দলের বৈঠকে বসা যায় কিনা।
২০ দলের একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন যে, ২০ দলের বৃহত্তম দল হলো বিএনপি। তাদের ভিতরের অস্থিরতা বন্ধ করে, তাদের ঘর গোছানোর পরই ২০ দলকে কার্যকর করার পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। এজন্য তারা ২০ দলের বৈঠক করতে পারছেন না।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।