নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ২১ জানুয়ারী, ২০১৯
লালমনিরহাটে জামাতকে সঙ্গে নিয়ে কবর জিয়ারত করলেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। ঐ কবর জিয়ারতে অবশ্য গণফেরামের কেউ উপস্থিত ছিলেন না। গণফোরামের অনুপস্থিতি এবং জামাতের উপস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে নতুন বিন্যাস হচ্ছে? ড. কামালকে বাদ দিয়েই কি তাহলে ঐক্যফ্রন্ট নতুন ভাবে পুন:গঠিত হচ্ছে? যদিও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা, এসবকে রাজনৈতিক গসিপ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বিএনপি মহাসচিব লালমনিরহাট সফরে ‘জামাত’ প্রসংগ এড়াতে বারবার ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের অনুরোধ করেছেন। ঐক্যফ্রন্টের একজন নেতা বলেন,‘ বিমান যাত্রায় মির্জা ফখরুল পুরো সময়েই ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ.স.ম আব্দুর রব এবং ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে এখন জামাত নিয়ে কথা না বলার অনুরোধ করেন। বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের মতো কথায় কথায় ‘জামাত জামাত’ করেন কেন?’
৩০ ডিসেম্বর লালমনিরহাটে নির্বাচনী সহিংসতায় মারা যান স্থানীয় বিএনপি কর্মী তোজাম্মেল হক। আজ সোমবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা তোফাজ্জল হকের বাড়ি চর ধোলাইঘাটে যান। সেখানে তাঁরা কবর জিয়ারত করেন। বেলা দুইটায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশও করেন। ঢাকা থেকে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে যান জেসডির সভাপতি আসম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এবং গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুও তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। তোজাম্মেলের কবরে দোয়া পাঠ ও মোনাজাত করেন স্থানীয় জামাত নেতা মওলানা আবদুল হামিদ। এই সফরে গণফোরামের কেউ ছিলেন না। সংক্ষিপ্ত সমাবেশেও স্থানীয় ছাত্রশিবির নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান বক্তব্য রাখেন। গত সপ্তাহেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেছিলেন, ‘জামাতের সঙ্গে তিনি থাকবেন না। জামাতের সঙ্গ ছাড়তে বিএনপিকেও তিনি অনুরোধ জানিয়েছিলেন। এর পরপরই গত বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সভা বিএনপি বর্জন করে। জানা যায়, জামাত নিয়ে ড. কামাল হোসেনের আনুষ্ঠানিক অবস্থান ঘোষণার প্রেক্ষাপটেই বিএনপি ঐক্যফ্রন্টের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে যোগ দেয়নি। গতকাল ড. কামাল হোসেন সিঙ্গাপুর গেছেন। একাধিক সূত্র বলছে, যেভাবে বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন প্রক্রিয়ায় শেষ মুহূর্তে অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে বাদ দিয়েছিল। ঠিক একইভাবে বিএনপি এখন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরামকে বাদ দেওয়ার পরিকল্পনায় এগুচ্ছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল বলছেন,লালমনিরহাটের ঘটনা তারই একটি টেস্ট কেস।
বিএনপির একজন নেতা বলছেন বিএনপিকে বিব্রত করার জন্যই বারবার জামাত প্রসঙ্গ সামনে আনা হচ্ছে। এটা সরকারের প্রোপাগান্ডা। ড. কামাল হোসেন সরকারের ফাঁদে পা দিয়ে বার বার জামাত জামাত করছেন।’ ঐ নেতা আরও বলেন যে, ‘গণফোরাম বাদ দিয়ে অন্য দলগুলো যেমন জেএসডি, নাগরিক ঐক্য কেউই এই মুহূর্তে জামাত প্রসঙ্গ আনছে না।’
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে ড. কামালের নেতৃত্ব ও ভূমিকা নিয়ে বিএনপিতে এখন নানা প্রশ্ন। এ কারণেই ড. কামালকে হয়ত মাইনাস করতে চায় বিএনপি। বিএনপি তার নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে চালাতে চায়। তারই একটি মহড়া হলো আজ লালমনিরহাটে- এমনটাই ধারণা অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক
পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের
মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেনি তাদের বিষয়ে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলীয়
নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময়মতো অবশ্যই
এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে
আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টির যারা মন্ত্রী-এমপি
এমন পর্যায়ে আছেন তাদের জন্য নির্দেশনা রয়েছে, তাদের সন্তান ও স্বজনরা যেন উপজেলা নির্বাচনে
না আসে। প্রথম পর্যায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় চলে গেছে। কেউ কেউ বলেছেন আমরা
বিষয়টি আরও আগে অবহিত হলে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সুবিধা হতো। তারপরেও কেউ কেউ প্রত্যাহার
করেছেন, কেউ কেউ করেননি। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে সময়সীমা তারপরেও ইচ্ছা
করলে করতে পারবেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন,
‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা
নেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাচনেও কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। দল যার যার
কর্মকাণ্ড বিচার করবে। চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবে না সময়মতো দল ব্যবস্থা
নেবে’।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি একতরফা কোনো
সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়টি এসে যায়। আওয়ামী লীগও একই সময়ে সমাবেশের
ডাক দেয়। তবে এটা পাল্টাপাল্টি নয়।
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক
কার্যালয়ে হওয়া উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি
এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত
রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক
আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।
মন্ত্রী-এমপি প্রার্থিতা প্রত্যাহার ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেনি তাদের বিষয়ে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময়মতো অবশ্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।