নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৪ এএম, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৯
বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলামের জ্যাকেটের কলার ধরে বাক বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল বুধবার দুপুরে বগুড়া শহরতলির গোকুল এলাকায় পাঁচতারকা হোটেল মম-ইনের লিফটে ওঠার সময় এ ঘটনা ঘটে। বিএনপির মহাসচিব ওই হোটেলে যাত্রা বিরতি কালে লিফটে ওঠার সময় হঠাৎ করেই বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলামের সঙ্গে কথা-কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন ফখরুল। এ সময় সাইফুলের জ্যাকেটের কলার চেপে ধরেন মির্জা ফখরুল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁনের কোন্দল আরও বেড়েছে। লিফটের মধ্যে মহাসচিবের সামনেই সাইফুল ও চাঁন বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে পৌঁছে। তখন ফখরুল ইসলাম সভাপতি সাইফুলকে নিবৃত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, এতে উভয় নেতার সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে কী কারণে তাদের মধ্যে এ অবস্থার সৃষ্টি হয় সে সম্পর্কে কেউ বলতে রাজি হননি।
ফোন বন্ধ রাখায় জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সাইফুলের সমর্থক আবুল কালাম আজাদ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি সাইফুলের উদ্ধৃতি দিয়ে এ নিয়ে রিপোর্ট না করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার বগুড়ায় যান।সেখানে নেতা কর্মীদের মাঝে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন তিনি।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।