নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৫ পিএম, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৯
দু’দিন আগেই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘোষণা করলে যে, বর্তমান সরকারে এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোন নির্বাচনি অংশগ্রহণ করবে না বিএনপি। কিন্তু এর পরপরই তাদের সিদ্ধান্ত আবার পাল্টে যাচ্ছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও মনোনয়ন নিয়ে বিএনপি টানাপোড়েনে পড়েছে। উল্টো সুরে কথা বলছেন এখন মির্জা ফখরুল। বিএনপি মহসাচিব বলছেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো কিনা সিদ্ধান্ত আসবে লন্ডন থেকে।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, তারেক জিয়াকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ঢাকা উত্তর নির্বাচনের মনোনয়ন কিনেছিলেন তাবিথ আউয়াল। সেসময় তার নির্বাচন করার কথা থাকলেও আইনী নিষেধাজ্ঞার কারণে তখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। এখন আদালতের নিষেধাজ্ঞা কেটে গেছে। মাঝখানে অনেক ঘটনাই ঘটেছে। জাতীয় নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি হয়েছে। কারচুপির অভিযোগে ওই নির্বাচনকে প্রত্যাখান করেছে বিএনপি। এরপর বিএনপির মহাসচিব ঘোষণা দেন যে, এই সরকারে অধীনে আর কোন নির্বাচনে বিএনপি যাবে না।
দলটির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে, তাবিথ আউয়াল যেহেতু এই নির্বাচনে লড়ার জন্য লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েছিলেন এবং তিনি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তাই তিনি তারেককে টেলিফোন করে বলেছেন যে, ‘হয় নির্বাচন করার অনুমতি দেন নাহলে টাকা ফেরত দেন।’ টাকা ফেরত না দেয়ার জন্য এই নির্বাচনের ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে পারে বিএনপি। দুইদিনের মাথায় কথা পাল্টে ফেললেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। আজ তিনি বলেছেন, নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন তারেক রহমান। তার সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর আমরা ঢাকা উত্তরের নির্বাচনের অংশ নেয়ার ব্যাপারে আমাদের সিদ্ধান্ত জানাবো।
যেহেতু একটা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাবিথ আউয়াল মনোনয়ন পেয়েছিলেন তাই তারেক জিয়া তার টাকা ফেরত না দিয়ে তাকে নির্বাচনের অনুমতি দিতে পারেন বলে বলছে দলটির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো। টাকার কাছেই যে বিএনপি বার বার পরাজিত হচ্ছে সেটা আরেকবার প্রমাণিত হলো।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।