নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৯
আওয়ামী লীগের যে নতুন মন্ত্রিসভা হয়েছে, সেখানে চমক ছিল দলের হেভিওয়েট নেতাদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভূক্ত না করা। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, প্রবীন এই নেতাদের দলের বিভিন্ন কর্মকান্ডে যুক্ত করে সান্তনা দিতে চান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ লক্ষ্যেই বিভিন্ন কাজে তাদেরকে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে যে, আগামী ১১ মার্চ অনুষ্ঠেয় ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের নির্বাচন তদারকি করার দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি এবং ঊনসত্তরের তুখোড় ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদকে। আওয়ামী লীগ সভাপতি গত রাতেই এ ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে জানা গেছে। যদিও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের এই নির্বাচন তদারকিতে উৎসাহী ছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি মনে করছেন, দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাদেরের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। তাছাড়া তিনি মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এজন্য সাধারণ সম্পাদককে ডাকসু নির্বাচনের দায়িত্ব দিতে সভাপতি আগ্রহী নন। বরং তিনি মনে করেন, যেহেতু তোফায়েল আহমেদ তুখোড় ছাত্রনেতা ছিলেন। ছাত্রলীগের ইতিহাসে তিনি অন্যতম জনপ্রিয় ছাত্রনেতা ছিলেন। ঊনসত্তরে তিনি ডাকসুর ভিপি ছিলেন। সেহেতু তোফায়েল আহমেদের কাছেই ছাত্রলীগের ডাকসু নির্বাচনের দায়িত্ব তুলে দিতে চান। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা শিগগিরই এ ব্যাপারে আলোচনা করবেন এবং চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে আরেকটি সূত্র বলছে যে, ওবায়দুল কাদের নিজে ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের দায়িত্ব নিতে যদি না পারেন তবে তিনি তার অনুগামী এবং বিশ্বস্ত কাউকেই, যেমন জাহাঙ্গীর কবির নানক বা এনামুল হক শামিমকে দায়িত্ব দিতে চাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে যে, নানক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করলেও তিনি কখনো ডাকসুর নেতৃত্বে ছিলেন না। এনামুল হক শামিম ছাত্রলীগের সভাপতি থাকলেও তিনি জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও ভিপি ছিলেন। এ জন্যই এ দায়িত্ব তোফায়েল আহমেদকে দেয়া হবে বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।