নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১৫ এএম, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৯
আসন্ন ডাকসু নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। নিজেদের সংগঠিত করার প্রত্যয় নিয়ে ইতিমধ্যে ঘরোয়া বৈঠক শুরু করেছেন ছাত্রদলের নেতারা। তবে ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের শতভাগ নিশ্চয়তা চায় সহাবস্থান নিশ্চিত করার।
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ডাকসুকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে ক্যাম্পাসে আগের মত নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জোরালো তাগিদ দিয়েছেন যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ বিষয়ে তারেক রহমান শনিবার রাতে সরাসরি কথা বলেন বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এবং সাবেক ডাকসু ভিসি আমানউল্লাহ আমান ও সাবেক জিএস খাইরুল কবির খোকনের সাথে। তারেক রহমান উক্ত ৩ নেতাকে নির্দেশনা দেন, যে কোন মূল্যে ডাকসুতে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে।
সূত্র জানায়, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সাবেক ছাত্রনেতাদের সমন্বয়ে শিগগিরই একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠনের তাগিদ দেন তারেক রহমান। ঐ কমিটির মাধ্যমে ভালো একটি প্যানেল গঠনেরও তাগিদ দেয়া হয়। এ ব্যাপারে শহীদউদ্দিন চৌধুরীর সাথে কলা বললে তিনি জানান, আমাদের নেতা (তারেক রহমান) নিদের্শনা দিয়েছেন ডাকসুতে জোরালোভাবে অংশ নিতে। আমরা সংগঠিত হয়ে আজকালের মধ্যেই সভা আহ্বান করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। তিনি জানান, ডাকসুর সাবেক নেতাদের সাথে পরামর্শ করেই আমরা এগুবো। তবে তিনি জানান, যদি নির্বাচনে অংশ নেয়ার মত পরিবেশ থাকে তাহলে ছাত্রদল প্রয়োজনে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের ব্যানারে প্যানেল দেবে।
এদিকে, শনিবার রাতে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে তারেক রহমান কথা বলার পরেই নড়েচড়ে বসেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা। আজ যে কোন সময় তারা একত্রিত হয়ে এ বিষয়ে জোরালো সিদ্ধান্ত নেবেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের কোন অবস্থান নেই বললেই চলে। তাছাড়া হল কমিটিগুলোও নেই অনেকদিন যাবত। অনেকটাই নড়বড়ে অবস্থার মধ্য দিয়ে চলছে সাংগঠনিক কার্যক্রম। আওয়ামী লীগ সরকারের গত মেয়াদ থেকেই ছাত্রদল ক্যাম্পাস থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেন। উল্লেখযোগ্য কোন কর্মসূচিতে ছাত্রদলের কোন ভূমিকা দেখা যায়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।
এদিকে, আসন্ন ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে হাতেগোনা কয়েকজন ছাত্রদল নেতাকে ক্যাম্পাসে আসতে দেখা যাচ্ছে। যদিও তারা নিজেদের নিরাপত্তাহীনতার কথা বলছেন ঢাবি কর্তৃপক্ষকে। ছাত্রদল চলতি সপ্তাহেই ক্যাম্পাসে সহাবস্থান নিশ্চিত করার জন্য ভিসি বরাবর স্মারকলিপি দেবে।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১১ মার্চ। এ নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সরগরম হয়ে উঠেছে। দীর্ঘ ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেও প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।