নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৯
কঠোর নজরদারির আওতায় আনা হচ্ছে নতুন মন্ত্রিসভাকে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় মন্ত্রীদের কাজ মনিটরিং করবে এবং প্রধানমন্ত্রীকে নিয়মিত রিপোর্ট দেবে। এছাড়াও প্রত্যেক মন্ত্রণালয়কে তাদের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে নিয়মিত রিপোর্ট পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হবার পরপরই সব মন্ত্রণালয়ে নির্বাচন ইশতেহার এবং তা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের করণীয় সম্পর্কে বার্তা পাঠানো হয়েছে। বার্তায় নির্বাচনী ইশতেহার প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয়ের কাজ উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সব মন্ত্রণালয়ের সচিবদের কাছে পাঠানো নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে করণীয়তে ‘দক্ষ’ সেবামূখী এবং জবাবদিহিতা মূলক প্রশাসনের কথা বলা হয়েছে। সঙ্গে দেওয়া হয়েছে নির্বাচনী ইশতেহার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন,‘ প্রধানমন্ত্রী এবার দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টরারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। এজন্য মন্ত্রণালয়গুলোতে কোন রকম দুর্নীতি প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মন্ত্রী এবং মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম তিনস্তরে নজরদারির মধ্যে আনা হচ্ছে।
প্রথমত, প্রত্যেক মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় মনিটরিং করবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালকদের মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম পর্যবেক্ষন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালকরা দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কে মহাপরিচালককে জানাবেন। একেকজন মহাপরিচালক একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকবেন। তাঁরা মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর সচিব, মূখ্য সচিব এবং এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়ককে জানাবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, এই ব্যবস্থা আগেও ছিল কিন্তু মন্ত্রণালয়ের কাজে নজরদারির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ‘শৈথিল্য নীতি’ অনুসরণ করতো। এবার তা হবে না। বিশেষ করে ক্রয় এবং নিয়োগের বিষয়ে কড়া নজরদারি নিশ্চিত করা হবে।
দ্বিতীয়ত এবার জাতীয় সংসদে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত কমিটিগুলোকে আরও কার্যকর করা হবে। মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে কঠোর নজরদারি আনবে সংসদীয় কমিটি। সংসদীয় কমিটি মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে। এজন্য সংসদীয় কমিটির বৈঠকে নিয়মিত করা এবং মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের তাতে উপস্থিতি নিশ্চিত করার নির্দেশনা আসছে।
তৃতীয়ত, মন্ত্রণালয়গুলোর কার্যক্রম দুর্নীতি দমন কমিশনের নেটওয়ার্কে আনা হয়েছে। দুদক এবার মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে অনিয়ম এবং দুর্নীতির ব্যাপারে শুরু থেকেই অনুসন্ধান চালাবে। দুদক সূত্রে জানা গেছে, দুর্নীতিগ্রস্থ মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরগুলোতে কমিশন ইতিমধ্যেই গোয়েন্দা জাল ফেলেছে। আস্তে আস্তে সব মন্ত্রণালয়েই দুর্নীতি দমন কমিশনের গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে আসবে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর ‘সবুজ সংকেত’ও পেয়েছে দুদক। দুর্নীতি দমন কমিশন বলছে, ক্রয়-বিক্রয় এবং নিয়োগে দুর্নীতি বন্ধ হলেই সরকারি কার্যক্রমে অর্ধেকের বেশি দুর্নীতি বন্ধ হবে। এজন্য সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলছে, ত্রিমাত্রিক নজরদারির ফলে মন্ত্রণালয়গুলোর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ কমবে এবং মন্ত্রীরাও বিতর্কিত হবেন না। প্রধানমন্ত্রী এবার দুর্নীতি প্রশ্নে বিন্দুমাত্র ছাড় দেবেন না, এই বার্তা এখন স্পষ্ট।
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।