নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৯
গণফোরামের দুই নির্বাচিত সংসদ সদস্য শপথ নিতে চান। গণমাধ্যমে তাঁদের আগ্রহের কথা প্রকাশের পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে তোলপাড় চলছে। বিএনপি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এই সংসদে তাঁরা যাবেন না, তখন এই দুই সদস্যের এরকম মনোভাবে বিব্রত বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্ট। কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিএনপি মহাসচিব নিজেই সংসদে যাওয়ার পক্ষে। কিন্তু দলে তাঁর সমর্থন নেই জন্যই তিনি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর এবং মোকাব্বির খানকে উসকে দিয়েছেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম দল গণফোরাম থেকে ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে জয়ী হয়েছে দু’জন। এরা হলেন মৌলভীবাজার-২ থেকে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর এবং সিলেট-২ থেকে মোকাব্বির খান। সুলতান শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেন আর মোকাব্বির করেন উদিয়মান সূর্য নিয়ে। নির্বাচনের পরই বিএনপি থেকে বলা হয় যে, তাঁরা শপথ নেবেন না। এরপর গণফোরামের বর্ধিত সভায় শপথ নেওয়ার পক্ষে মত আসে। ড. কামাল হোসেন শপথ গ্রহণের ব্যাপারে ইতিবাচক চিন্তার কথা গণমাধ্যমকে জানান। এরপর বিএনপি থেকে এ ব্যাপারে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালে মত পাল্টান ড. কামাল। বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট শপথ নেবে না। এরপর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সভায় শপথ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। অনুসন্ধানে দেখা যায়, মুলত: বিএনপির চাপেই ঐক্যফ্রন্ট এরকম সিদ্ধান্ত নেয়। আবার শপথ নেয়া এবং সংসদে যাওয়া নিয়ে বিএনপিতেও মত বিরোধ ছিল। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছিলেন শপথ গ্রহণ এবং সংসদ যাওয়ার পক্ষে। কিন্তু দলের স্থায়ী কমিটির প্রায় সবই ছিলেন তার বিরুদ্ধে। সবার মতের বিরুদ্ধে যাবার কোন উপায় ছিলো না ফখরুলের। তিনি দলের সিদ্ধান্তই জানান ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটিতে। এ সময় সুলতান মোহাম্মদ মনসুর অসুস্থ হয়ে পরেন। সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নিতে তাকে একাধিকবার ফোন করেন বিএনপি মহাসচিব। কুশলাদি জিজ্ঞাসার ফাঁকে ফাঁকে সংসদে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে তাঁর (সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের) মনোভাবও জানতে চান বিএনপি মহাসচিব। সুলতান তাঁর কয়েকজন ঘনিষ্ঠকে আজ বলেছেন, ফখরুল ভাই- ই তাকে উৎসাহ দিয়েছেন। মির্জা ফখরুল সুলতানকে বলেছেন,‘আপনার তো কোন লিমিটেশন নাই। আপনি যেটা চান সেটা বলেন।’
মির্জা ফখরুল এটাও সুলতান মোহাম্মদ মনসুরকে বলেছেন যে, ব্যাক্তিগতভাবে তিনিও মনে করেন শপথ নিয়ে সংসদে গিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা উচিত। একটি সূত্র বলছে, সুলতানকে উসকে দিয়ে মির্জা ফখরুল সংসদে তার যাবার পথ তৈরী করলেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে ড. কামাল সংসদে যাবার পক্ষে ডা. জাফরুল্লাহও পক্ষে। বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীরা বিএনপিকে সংসদে যাবার পরামর্শ দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর তার মনের ইচ্ছা প্রকাশ করায়, এনিয়ে নতুন করে আলোচনার পথ তৈরী হলো। এটাই চেয়েছিলেন মির্জা ফখরুল। শেষ পর্যন্ত যদি এই দুজন তাদের অবস্থানে অনড় থাকেন তখন ‘বিএনপিকে ঐক্যের স্বার্থেই’ হয়তো তাদের অবস্থান পরিবর্তন হতে পারে। তখন ‘বৃহত্তর স্বার্থে’ কিংবা ‘বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে’ অথবা ‘জনগনের কথা বলতে’ সংসদে যেতেই পারেন মির্জা ফখরুল।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।