নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৯
স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে দেশে ফিরেছেন ড. কামাল হোসেন। দেশে ফিরে তিনি দলের দুইজনের সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেয়ার ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেননি। ড. কামালের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে যে, তিনি শপথ নেয়া এবং সংসদে যোগদানের পক্ষে। এর আগে গণফোরামের বৈঠকেও তিনি সংসদে যোগদানের ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছিলেন। কিন্তু বিএনপির চাপে তিনি সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন এবং এ ব্যাপারে ধীরে চলো নীতি অনুসরণ করেন। তবে বিদেশ থেকে ফিরে আবারও তিনি সংসদে যাওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বলে তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন।
ড. কামাল হোসেন তার ঘনিষ্ঠদের বলেছেন, এটা নিয়ে হৈ চৈ করার কিছু নেই। বিদেশী দূতাবাসের সঙ্গে বৈঠক করে তিনি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে চান। আগামীকাল ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে মার্কিন দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক হওয়ার কথা আছে। এছাড়া তিনি যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করবেন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য। তবে এই দুটি দূতাবাসের পক্ষ থেকে বিএনপিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয়েছে যে, বিএনপি যেন সংসদে অংশগ্রহণ করে।
বিএনপির একাধিক নেতা বলেছেন যে, ড. কামাল হোসেনের মনোভাবের উপর নির্ভর করে এই সংসদে বিএনপি যাবে কি যাবে না। তবে ড. কামাল হোসেনের ঘনিষ্ঠরা বলছেন যে, প্রয়োজনে তিনি তারেক জিয়ার সঙ্গেও কথা বলবেন। তারপরেই এটার চূড়ান্ত সমাধান হবে। সংসদে যাওয়ার ব্যাপারে ঐক্যফ্রন্টের যে অবস্থান, সেটা আরেকবার হয়তো পাল্টে যাচ্ছে। ড. কামাল হোসেন তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলে যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই বিএনপির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে বিএনপির একাধিক নেতা নিশ্চিত করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। আমাদের শপথ নেয়া এবং জাতীয় সংসদে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’ তবে তিনি বলেন যে, তারেক জিয়া দলের মূল নেতা। তিনি যদি অন্য কোন সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে অন্য কথা। যদিও তারেক জিয়া অন্য কোন সিদ্ধান্ত নেবেন না বলেই মনে করেন নজরুল ইসলাম খান।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।