নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০২ পিএম, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৯
মামলা থেকে বাঁচতে বিএনপি নেতারা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। সরকারের বিভিন্ন ব্যাক্তির কাছে ধর্ণা দিচ্ছেন। কেউ কেউ এমন কথাও বলছেন, তারা আর রাজনীতি করবেন না, তবুও মামলাগুলো থেকে যেন পরিত্রান পান। সিনিয়র নেতারা এখন নতুন নির্বাচন নিয়ে আন্দোলন নয়, নিজেদের বাঁচাতেই ব্যস্ত।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে তার যোগাযোগ চলছে। দুদকের মামলায় আষ্টে পৃষ্ঠে জড়িয়ে আছেন। মামলা নিয়েই তিনি তদ্বিরে ব্যস্ত। বিএনপির আন্দোলন, বেগম জিয়ার মুক্তি এসব কোন কিছুই তার মাথায় নেই। সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিকে বলেছেন,‘ আর রাজনীতি করবো না, তবুও এ যাত্রায় বাঁচান।’ নির্বাচনের পর থেকেই দলীয় কর্মকান্ডে অনুপস্থিত মির্জা আব্বাস। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো, সরকারের নানা মহলে যোগাযোগ করেও এখন পর্যন্ত আশার বানী শুনতে পাননি বিএনপির এই নেতা।
মির্জা আব্বাসের মতই নিজেকে বাঁচাতে দৌড়ঝাঁপ করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন। তিনিও সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ একাধিক ব্যাক্তির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রয়োজনে দল ভেঙে নতুন বিএনপি করারও প্রস্তাব দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র এই নেতা। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনিও কোনো সবুজ সংকেত পাননি। সরকারকে খুশী করতেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন।
ব্যরিস্টার মওদুদ আহমেদের সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন মহলের পুরনো যোগাযোগ। তাঁরা ‘ভায়রা’ প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাও বটে। বাড়ি সংক্রান্ত জটিলতার সময় থেকেই তাঁর সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ। নির্বাচনের আগে সংলাপে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁর বাড়ি নিয়ে তদ্বিরও করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হাসতে হাসতে বলেছিলেন, ‘হাসনার (ব্যারিস্টার মওদুদের স্ত্রী) বাড়ি হলে বিবেচনা করতাম।‘ কিন্তু সরকারের বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করলেও, ব্যরিস্টার মওদুদকে বিশ্বাস করেন না কেউই। যার ফলে সরকারের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোন ফল পাননা মওদুদ।
শুধু যারা বাইরে আছেন তারাই নন, যারা জেলে আছেন তাঁদের আত্মীয় স্বজনও মুক্তির জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলে দেন দরবার করছেন। হাবিব উন নবী খান সোহেলের স্ত্রী সরকারের একাধিক মন্ত্রির সঙ্গে সোহেলের জামিনের জন্য তদ্বির করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। শিমুল বিশ্বাসের ভাইও সরকারের কাছে ভাইয়ের জামিনের জন্য ধর্ণা দিচ্ছেন।
বিএনপির একাধিক নেতা বলছেন, বেগম জিয়ার মুক্তির জন্যই যে দল কিছু করতে পারে না, তারা অন্য নেতা-কর্মীদের জন্য কি করবে। বিএনপি না পারছে মামলা লড়তে, না পারছে আন্দোলন করতে, তাই যে যার মতো সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে চলতে চায়। কিন্তু এতে রাজনীতির ভবিষ্যৎ কি হবে? এ প্রশ্নের উত্তর নেই কারও।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।