নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৯
উপজেলা নির্বাচনে বিপদ দেখছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের উদ্যোগে পরিচালিত মাঠ পর্যায়ের জরিপে দেখা গেছে, উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মধ্যে ব্যাপক কোন্দল রয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় একাধিক প্রার্থী থাকার কারণে আওয়ামী লীগ বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে পারে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক মহল উপজেলা নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে নির্বাচন উম্মুক্ত করার চিন্তাভাবনা করছেন। এরফলে শুধুমাত্র একজনকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতীক দেওয়া হবে এবং যারা মনোনয়ন পাবে না তাঁরা যদি ইচ্ছে করে তাহলে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে। কিন্তু এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
আওয়ামী লীগের মাঠ জরিপে বলা হচ্ছে, এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে সেটা হবে দলের জন্য বিপর্যয়কর। কারণ প্রতিটা নির্বাচনী এলাকায় নূন্যতম তিন থেকে সাতজন প্রার্থী রয়েছেন। এই সমস্ত প্রার্থীরা আওয়ামী লীগকে শুধু বিভক্তই করবে না, আওয়ামী লীগকে হারানোর জন্য সবরকম চেষ্টা করবে।
অন্যদিকে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএনপি যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে বলছে তাঁরা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না কিন্তু বিএনপির উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিএনপি এবং জামাত উপজেলা নির্বাচন নিয়ে একটি সমঝোতার চেষ্টা করছে বলে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে জানা গেছে। সেই সমঝোতা অনুযায়ী ১০০ টি উপজেলা বিএনপি জামাতকে ছেড়ে দিবে। জামাতের প্রার্থীরা সেখানে এককভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াবে। বাকী ৩৮৯ টি উপজেলায় বিএনপির নেতৃবৃন্দ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও বিএনপির কেন্দ্র থেকে স্থানীয় পর্যায়ে তাদেরকে বার্তা দেওয়া হবে যে, তাঁরা যেন ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন।
গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, বিএনপি এবং জামাত যদি এরকম পরিকল্পিতভাবে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে এবং আওয়ামী লীগ যদি প্রার্থী উন্মুক্ত করে দেয় তাহলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বড় ধরণের বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে। এজন্য গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রার্থী উন্মুক্ত করে দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। উপজেলা নির্বাচন যেহেতু একটি স্থানীয় নির্বাচন, সেজন্য স্থানীয় পর্যায়ের লোকজন এখানে স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও এই নির্বাচনে প্রচুর স্বতন্ত্র প্রার্থী পাওয়া যাবে বলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পূর্বাভাস দিয়েছে। তাই চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী করার ক্ষেত্রে মত দিয়েছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা।
অবশ্য আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক মহলও মনে করছেন যে, শেষ পর্যন্ত যদি প্রার্থিতা উন্মুক্ত করা হয় তাহলে উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগে যে বিভক্তি তৈরি হবে সেই বিভক্তি পরবর্তীতে কাটিয়ে ওঠা অসম্ভব হবে। এজন্য আওয়ামী লীগ ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে যে, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তাঁরা কোনো প্রার্থী দেবে না। এটা উন্মুক্ত হবে। তবে উপজেলা চেয়ারম্যানের ব্যাপারে একক প্রার্থী এবং দলের নেতারা যদি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা এ ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন , ‘আমরা এই বিষয়টি নিয়ে এখনও আলোচনা করিনি। তবে দলের শৃঙ্খলা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেউ যদি দলের শৃঙ্খলা লঙ্ঘন করে দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে কথা বলে বা দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরোধিতা করে তবে সেটা অবশ্যই দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে পড়বে। যেটাকে আমরা বরদাস্ত করবো না।‘
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে যে, গোয়েন্দা রিপোর্ট এবং আওয়ামী লীগের মাঠ জরিপের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ অন্যচিন্তা করছে। শেষপর্যন্ত উন্মুক্তভাবে প্রার্থিতা না দিয়ে একক প্রার্থিতা দেওয়া হবে এবং বিদ্রোহী প্রার্থী হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই খারাপ ফলাফল করতে পারেনা। কারণ আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধাকরা মনে করছেন, জাতীয় নির্বাচনে বিরাট সাফল্যের পর উপজেলা নির্বাচনে বিপর্যয় ভিন্নরকম বার্তা দিবে। বিশেষ করে যখন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে বিএনপি এবং বিভিন্ন মহল।
বাংলা ইনসাইডার/এসআর
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয় বলে দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য’ বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।
বিবৃতিতে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ক্ষমতা বিএনপি
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।