নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৯
সরকারের সঙ্গে কে কতোটা আঁতাত করেছে সেই বিতর্কেই শেষ হলো জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক। ড. কামাল হোসেন দেশে ফেরার পর আজ বিকেলে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রধানমন্ত্রীর ডাকা চা চক্রে যোগ দেবে না।
এসময় বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানতে চান, ঐক্যফ্রন্টের টিকেটে নির্বাচিত সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের খবর কী? কিন্তু এ ব্যাপারে ড. কামাল হোসেন এবং গণফোরামের কোন নেতাই কোন উত্তর দিতে পারেননি। ড. কামাল হোসেন বিষয়টি এড়িয়ে বলেন যে, তিনি ব্যক্তিগতভাবে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর এবং মোকাব্বির খানের সঙ্গে কথা বলবেন। ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ঐক্যফ্রন্টের যে সংলাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল তাও বাতিল করে দেয়া হয় বৈঠকে। আপাতত ঐক্যফ্রন্ট কোন সংলাপ করছে না।
সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করবে। এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি তারা গণশুনানি কর্মসূচি করবে যেখানে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে যত অনিয়ম ও কারচুপির বিষয়গুলো নিয়ে জনগণের মতামত গ্রহণ করবে। কিন্তু এসব কর্মসূচির আড়ালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে অনৈক্য সরকারের সাথে গোপন আতাতের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ প্রবল হয়ে ওঠে। বিশেষ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দুই নেতার সাক্ষাৎকার, তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ এবং গণফোরামের বিভিন্ন বক্তব্য ও অবস্থান নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলেন।
ড. কামাল হোসেন সব প্রশ্ন এড়িয়ে যান এবং তিনি বলেন যে, আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি এবং ঐক্যবদ্ধ থাকবো। কিন্তু ড. কামালের গতকালের বক্তব্য নিয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন যে, সংসদের ব্যাপারে আপনাদের সম্মতি আছে। এই সংসদ যে অবৈধ এবং জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় সে কথাটি বারবার ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের কাছ থেকে আসা উচিৎ। এ ব্যাপারে অবশ্য ড. কামাল হোসেন কোন মন্তব্য করেননি।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।