নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৯
জাতীয় সংসদের মহিলা আসনের মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে এক হাজারেরও বেশি মনোনয়ন প্রত্যাশী মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাদের বাইরে থেকেও নারী সংসদ সদস্যের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে পারে। যে সমস্ত গুণীজন আছেন, সমাজে যাদের অবদান আছে, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন; এমন অনেকে আছেন যারা মনোনয়নপত্র জমা দেননি। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি তাদের দিকে। প্রধানমন্ত্রী তার পছন্দের প্রার্থী খুঁজছেন। তাদের পছন্দের প্রার্থী মনোনয়নপত্র কিনলো কি কিনলো না, সেটা বড় বিষয় নয়। বরং মনোনয়নপত্র জমাদানকারীদের বাইরে থেকেও অনেকে এবার নারী সংসদ সদস্য পদে চূড়ান্ত মনোনয়ন পাবেন বলে আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটি এবং গঠনতন্ত্রে বলা হয়েছে, দলীয় মনোনয়নের জন্য মনোনয়নপত্র কিনতে হবে। কিন্তু মনোনয়নপত্র না কিনলে যে মনোনয়ন দেয়া যাবে না এরকম কোন বিধি-নিষেধ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে নেই। যার ফলে আওয়ামী লীগ সভাপতি যদি মনে করেন, দলের স্বার্থে ও দেশের স্বার্থে কাউকে নারী সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করা যায় সেক্ষেত্রে দলের সভাপতি অবশ্যই তাকে মনোনয়ন দিতে পারবেন বলে আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিকদের মধ্য থেকে বেশ কয়েকজনের উপর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগ্রহ রয়েছে। তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মহল যোগাযোগ করছে বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে যে, প্রবীণ দু’জন কথাসাহিত্যিক, প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের। তারা আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কেনেননি। তবুও তাদের মতামত জানার জন্য তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা যোগাযোগ করেছেন। একজন প্রথিতযশা রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পীর সঙ্গেও আওয়ামী লীগের একাধিক মহল যোগাযোগ করেছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও একজন কূটনীতিক যিনি প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ, অবসরে আছেন। তিনিও মনোনয়নপত্র কেনেননি। তিনিও মনোনয়ন পেতে পারেন বলে ঐ সূত্রটি নিশ্চিত করেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, ‘নারী সংসদ সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে যারা দলের জন্য, দেশের জন্য কাজ করতে পারেন তাদেরকে আমরা যোগ্য মনে করবো। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’ মনোনয়নপত্র না কিনেও মনোনয়ন পাওয়া যাবে কি না-এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কেন পাওয়া যাবে না? দল যাকে যোগ্য মনে করবে, দল যাকে কাজের মনে করবে, তাকে মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে গঠনতন্ত্রে কোন বাধা নেই।’
জানা গেছে যে, ৮ থেকে ১০ জন এমন প্রার্থী খোঁজা হচ্ছে যারা মনোনয়নপত্র জমা দেননি কিন্তু সমাজের বিভিন্ন জায়গায় তারা প্রতিষ্ঠিত ও সম্মানিত। জাতীর বিভিন্ন সংকটকালে যেমন ৭৫’র ১৫ আগস্ট, ২০০১ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এবং ২০০৭ সালে ১/১১’র সময় যারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলো এরকম একাধিক নারীকে এবার সংসদ সদস্য হিসেবে দেখা যেতে পারে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।