নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০১ পিএম, ০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
সরকারী চাকরীজীবীরা যখন অবসরে যান তখন তাকে বলা হয় পিএলআর। এসময় তারা এক বছরের অবসরোত্তর ছুটি ভোগ করে। এসময় তাদের কোন কাজ থাকে না। কিন্তু সরকারী সব সুযোগ সুবিধা ভোগ করে। রাজনীতিতে এমন কোন ছুটি নেই। কিন্তু ইদানিং কিছু রাজনীতিক এরকম অবসরকালীন ছুটি ভোগ করছেন। তারা পদে আছেন, এমপিও হয়েছেন। কিন্তু তাদের কোন কাজ নেই। তারা একরকম অবসর জীবন যাপন করছেন। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী নেতৃত্বাধীন জোট বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছে। আওয়ামী লীগের ২৫৮ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজন বয়ঃপ্রবীণকে রাখা হয়েছে, যেন শেষ বয়সে তারা নির্বাচিত সদস্য, একটা সম্মান নিযে চলে যেতে পারেন। এরকম অবসরোত্তর ছুটিতে থাকা নেতার সংখ্যা আওয়ামী লীগে বাড়ছে।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী গত সংসদে আওয়ামী লীগের উপনেতা ছিলেন। তার অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে তাকে এবারের নির্বাচনে প্রথমে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগের জন্য তার দীর্ঘদিনের অবদান এবং বয়স বিবেচনা করে তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়। তিনি নির্বাচিত হলেও একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম দিনে কার্যক্রমে তিনি থাকতে পারেননি। একরকম অবসর জীবন যাপন করছেন। তাই তিনি এখন অবসরকালীন ছুটিতে আছেন বলা যায়।
অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুঃসময়ের সাথী এবং দলের নিবেদিতপ্রাণ একজন প্রবীণ নেতা। ১/১১’র সময় তার বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল। এর পুরস্কারস্বরূপ তিনি ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়লাভের পর ২০০৯’র মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান সাহারা খাতুন। এখন তিনি বয়সের ভারে ন্যুজ্ব। দলীয় কর্মকাণ্ডে তাকে ঠিকমতো অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় না। তিনি একরকম অবসর জীবনযাপন করছেন। সংসদ সদস্য পদ তার জন্য শুধুমাত্র একটি সম্মান ছাড়া আর কিছুই নয়।
ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর ৯৬’র জনতার মঞ্চের অন্যতম রূপকার এবং ৯৬’র নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার জন্য যে কয়জন অবদান রেখেছিলেন তার মধ্যে মহিউদ্দিন খান আলমগীর অন্যতম। তখন তিনি প্রধানমন্ত্রীর সচিব হয়েছিলেন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ঐ আমলেই তিনি পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি এমপি হন। এসময় তিনি একটি ব্যাংক ও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিক হন। এরপর তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি সফল হতে পারেননি। তার মালিকানাধীন ফারমার্স ব্যাংকও ডু্বে গেছে। এই নির্বাচনে তার প্রার্থিতা নিয়ে টানাপোড়েন চললেও শেষ পর্যন্ত তার অতীত অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া হয় এবং তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন। তবে তিনি সমস্ত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে থেকে দূরে থেকে মোটামুটি অবসর জীবনযাপন করছেন।
রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, নরসিংদী থেকে নির্বাচিত। তিনি আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কাণ্ডারীদের মধ্যে অন্যতম। ২০০৮ সালে তিনি তার পুরস্কারও পেয়েছিল। ২০০৯’র মন্ত্রিসভায় তাকে মন্ত্রিত্বও দেয়া হয়েছিল। বয়ঃপ্রবীণ এই রাজনীতিবিদ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গেও রাজনীতি করেছিলেন। এখন নির্বাচিত এমপি হলেও তিনি একরকম অবসর জীবনযাপন করছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন