নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
এলডিপির নেতা কর্নেল অলি আহমেদ অভিযোগ করেছেন যে,বিএনপির একাধিক নেতা সরকারী টাকায় নির্বাচন করেছেন। গতকাল এলডিপির এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ তুলেছেন। তার এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিএনপির একাধিক নেতা কর্নেল অলি আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ ব্যাপারে তার কাছে কোন তথ্য আছে কি না যেটা নিয়ে তারা দলের মধ্যে আলোচনা করতে পারেন তা জানতে চান। কর্নেল অলি আহমেদ তাদেরকে ৫ জন শীর্ষনেতার নাম বলেছেন। যারা নির্বাচনের বিভিন্ন সময়ে সরকারের কাছ থেকে নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ নিয়েছেন। তাদের অর্থ নেয়ার ব্যাপারে তার কাছে প্রমাণ আছে বলেও দাবি করেছেন কর্নেল অলি।
এ ব্যাপারে কর্নেল অলি আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, বিএনপির নেতারা শুধুমাত্র অর্থই নেয়নি, তারা নির্বাচন করেছে আওয়ামী লীগকে জেতানোর জন্য এবং এটা সমঝোতার ভিত্তিতে। সে কারণে তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ অন্যান্য বিষয়কে উপেক্ষা করেছে। কী ধরনের প্রমাণ আছে জানতে চাইলে কর্নেল অলি এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি। তবে বিএনপির যে সমস্ত নেতা কর্নেল অলি আহমেদকে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি তাদের বলেছেন, তার কাছে যথেষ্ঠ প্রমাণ আছে এবং ২০ দলের বৈঠক ডাকা হলে তিনি সেখানে তথ্য-প্রমাণগুলো উপস্থাপন করবেন।
কর্নেল অলি আহমেদের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, যে ৫ জন নেতা সরকারী অর্থে নির্বাচন করেছেন বলে কর্নেল অলি অভিযোগ করেছেন তাদের মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্যতম। এছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান এবং আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সরকারী অর্থায়নে নির্বাচন করেছেন বলে কর্নেল অলি আহমেদ অভিযোগ করেছেন।
তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন, উদ্ভট। এ ধরনের অভিযোগ তুলে বিএনপি এবং ২০ দলে একটি বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা মাত্র। তিনি বলেন যে, এ সমস্ত অপপ্রচার করে সরকার বিএনপিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাইছে। সরকার নির্বাচনের আগেও বিএনপি ভাঙতে চেয়েছিল। কিন্তু সেসময় তারা ব্যর্থ হয়েছে। এখন নির্বাচনের পরও বিএনপি ভাঙার জন্য মরিয়া হয়ে লেগেছে বলে মন্তব্য করেন নজরুল ইসলাম খান। কিন্তু যিনি অভিযোগ করেছেন তিনি বিএনপির একজন প্রাক্তন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য; এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান কোন মন্তব্য করেননি।
তবে কর্নেল অলি আহমেদের বিএনপিতে একটি বিরাট অনুসারী দল রয়েছে। তারা এই বক্তব্যটি বিশ্বাস করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, কর্নেল অলি আহমেদ যখন বিএনপিতে ছিলেন তখনও তিনি তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বক্তব্য রাখতেন। কখনও তিনি ঢালাও মন্তব্য করেননি অন্যান্য রাজনীতিক নেতার মধ্যে। তিনি জিয়াউর রহমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ একজন সহযোদ্ধা ছিলেন। কাজেই তার বক্তব্যকে উড়িয়ে দেয়ার কোন সুযোগ নেই।
তবে অন্য একটি সূত্র বলছে, বিএনপির নেতৃত্বে এখন যারা আছেন তাদের সঙ্গে কর্নেল অলি আহমেদের সম্পর্ক বরাবরই খারাপ ছিল। কর্নেল অলি আহমেদ যে কারণে বিএনপি থেকে বেরিয়ে গেছেন তার একটা বড় কারণ হলো এসমস্ত নেতারা। কাজেই সুযোগ পেলেই তিনি এ ধরনের বক্তব্য রাখেন বলেই ঐ সূত্র মনে করছে। তবে যে কারণেই কর্নেল অলি আহমেদ এই বক্তব্য রাখেন না কেন এই বক্তব্য নিয়ে বিএনপিতে আরও একবার তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।