নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো প্রাধান্য পাবে না। যদি আওয়ামী লীগের মূল সংগঠন থেকে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া যায় কেবল তখনই অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, তাতী লীগ প্রভৃতি থেকে প্রার্থী বিবেচনা করা হতে পারে। তবে তারা উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেনা।
আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা বলছেন, আওয়ামী লীগ তার সাংগঠনিক কাঠামোকে একটি শক্তিশালী প্রক্রিয়া ও শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে চায়। এজন্য তারা অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে সরাসরি জনপ্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন দিতে আগ্রহী নয়।
আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেন, ছাত্রলীগ করা একজন নেতা বা কর্মীকে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। এখনই যদি সে জনপ্রতিনিধি হওয়ার জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তাহলে সংগঠন নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সেজন্য আওয়ামী লীগ চাইছে যেন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো শক্তিশালী হয় এবং সেই শক্তিশালী অঙ্গসংগঠন থেকে মূলধারার নেতৃত্ব আসে। যুবলীগ বা ছাত্রলীগের একজন নেতা সংগঠন করতে করতে যখন পরিপক্ক হবে তখনই তিনি মূল সংগঠনে আসবেন। তখনই তিনি মূল সংগঠনের জন্য অনেক বেশি অবদান রাখতে পারবেন এবং নির্বাচনের জন্য উপযোগী হবেন।
এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ একই নীতি অনুসরণ করেছিল। সংসদ নির্বাচনে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল এবং উপজেলাতেও একই ধারা অব্যাহত থাকবে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায় যে, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় এক হাজার মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়। এজন্য তারা স্ব স্ব নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণাও চালিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বিষয়ক গঠিত স্থানীয় কমিটি মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নামের তালিকা পাঠাচ্ছে। সে তালিকাতেও অনেক যুবলীগ, স্বেচ্ছা সেবকলীগসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের নাম রয়েছে বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে দল কিভাবে তাদেরকে বিবেচনা করবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।