নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৫ এএম, ০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
বিএনপি নেতাদের বাদ দিয়ে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে লন্ডনে ডেকে পাঠিয়েছেন তারেক জিয়া। মাহমুদুর রহমান মান্না গতকাল রোববার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানে করে ভারতের চেন্নাইয়ে গেছেন।
দলীয় সূত্রে বলা হয়েছে যে, তিনি চিকিৎসার জন্য চেন্নাই যাচ্ছেন। তার সঙ্গে তার সহধর্মিনী মেহের নিগারও গিয়েছেন। কিন্তু মান্নার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানাচ্ছে যে, চেন্নাইয়ে তিনদিন থাকার পরে তিনি লন্ডনে যাবেন। সেখানে তারেক জিয়া সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার জন্য তাকে ডেকে পাঠিয়েছেন।
মাহমুদুর রহমান মান্নাই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে বিএনপিকে নেওয়ার পক্ষে অন্যতম ক্রিড়ানকের ভূমিকা পালন করেছিলেন। এবং যখন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে জামাত ইস্যুটি এসেছিল তখন মান্নাই জামাতকে রেখে বিএনপির সঙ্গে জোট করার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রেও তার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
বিএনপির অনেকেই মনে করেন যে, মাহমুদুর রহমান মান্না জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে তারেকের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। এবং নির্বাচনে বিভিন্ন সময় তারেকের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়েছিল বলেও একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এখন নির্বাচনের পরে নানা ইস্যুতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে টালমাটাল অবস্থা এবং অনৈক্য প্রকট হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে জামাত ইস্যুটা সামনে এসেছে। এমন অবস্থায় মাহমুদুর রহমান মান্নাকে লন্ডনে ডেকে নেওয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। বিশেষ করে বিএনপির কোনো নেতার সঙ্গে কথা বলার আগেই মান্নার সঙ্গে তারেকের বৈঠক বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে একটি অস্বস্তি তৈরি করছে।
অবশ্য বিএনপির একটি সূত্র বলছে, মাহমুদুর রহমান থাকতেই লন্ডনে যাবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানেই তারা রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে পরবর্তী আলোচনা করবেন।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।