নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যা এবং বাংলাদেশে নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে একটি গোষ্ঠী। গোয়েন্দা সূত্রের খবর অনুযায়ী লন্ডনে পালাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া এবং লন্ডন ও মার্কিন যুক্তরাষ্টে অবস্থানরত যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত। একাধিক গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করেছে, নির্বাচনের আগেই তারা একটি নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল। সেই সময় তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর শারীরিক আক্রমন অথবা রাষ্ট্রের কোন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার উপর আক্রমনের পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু সেই পরিকল্পনা গোয়েন্দা তৎপরতা এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারীর কারণে সফল হতে পারেনি।
টানা তৃতীয়বারের মত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন শেখ হাসিনা। ৭ জানুয়ারি নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর বিএনপি এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করলো। তবে কথিত কারচুপির অভিযোগে তারা কোন আন্দোলনও করতে পারেনি। বিএনপি প্রথম পর্যায়ে চেষ্টা করেছিল আন্তর্জাতিক মহলের সহমর্মিতা এবং সহযোগিতা আদায়। এজন্য তারা কূটনৈতিক তৎপরতাও শুরু করেছিল। কূটনৈতিক তৎপরতায় তারা ব্যার্থ হন। কোন দেশই বাংলাদেশের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার যে বিএনপির প্রস্তাব, তাতে রাজি হননি। কূটনৈতিক তৎপরতায় ব্যর্থ হওয়ার পর বিএনপি রাজনৈতিক কর্মসূচী দেওয়ার চেষ্টা করেছে। সেই কর্মসূচীতেও তারা চুড়ান্ত ব্যার্থ। বিএনপি যে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছিল, তাতে ৫০০ লোকও হয়নি। যার ফলে রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিকভাবে ব্যর্থ বিএনপির একটি অংশ সহিংস পন্থায় সরকার বদলের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বলে গোয়েন্দাদের কাছে রিপোর্ট আছে। এই পরিকল্পনাগুলো লন্ডন, যুক্তরাষ্ট্র এবং দুবাইয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। জানা গেছে যে, এই প্রক্রিয়াগুলোর জন্য অর্থায়ন কিভাবে এই পরিকল্পনা করা হবে সেগুলোর ব্যাপারে একাধিক বৈঠকের কথাও গোয়েন্দাদের কাছে এসেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, তারেক জিয়ার পরিকল্পনা এবং পৃষ্টপোষকতায়ই ২০০৪ সালে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটনো হয়েছিল। সেই সময় তারেক বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠনের সহযোগিতা নিয়ে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন বলে জানা গেছে। এবারও একই রকমভাবে তারা প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রাননাশের চেষ্টা চালাবে বলে জানা যাচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্রের খবরে জানা গেছে যে, দুবাইয়ের বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সঙ্গে তারেক জিয়া এ ব্যপারে একাধিক বৈঠক করেছেন। সেই সমস্ত বৈঠকের তথ্য প্রধানাধি গোয়েন্দাদের হাতে রয়েছে। একইভাবে লন্ডন এবং যুক্তরাষ্ট্রেও যুদ্ধপরাধীদের সন্তানদের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার নানা পরিকল্পনার তথ্যও গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। গোয়েন্দারা বলছেন যে, বাংলাদেশে হলি আর্টিজিনের পর গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা অনেকে বেড়েছে। কাজেই এ ধরনের পরিকল্পনা ব্যার্থ করার জন্য তারা প্রস্তুত।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।