নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী নীতি নির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ জনপ্রিয় তিনজনের নাম পাঠাবে। একইসঙ্গে মাঠ পর্যায়ে নিজস্ব জরিপ অব্যাহত রাখে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।
উপজেলা নির্বাচনের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে তিন জন করে জনপ্রিয় প্রার্থীর নাম পাঠানোর নির্দেশনা দেয় আওয়ামী লীগ। তাদের পাঠানো তালিকার নামের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নিজস্ব জরিপে উঠে আসা রিপোর্টে তেমন কোন মিল নেই। এর প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ অনুসন্ধান করে দেখছে, স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক হারে মনোনয়ন বাণিজ্য হচ্ছে। স্থানীয় এমপিরা তাদের পছন্দের প্রার্থীর নাম দেয়ার চেষ্টা করছে। আবার অনেক সময় মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে খুশি করে তাদেরকে দিয়ে নিজেদের নাম পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন। এর ফলে যে তালিকা আওয়ামী লীগের হাতে আসছে তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সূ্ত্র বলছে, তালিকা নিয়ে ব্যাপক মনোনয়ন বাণিজ্য হচ্ছে। প্রাপ্ত তালিকার অধিকাংশ প্রার্থীই চূড়ান্ত বাছাইয়ে বাদ পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।