নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
আওয়ামী লীগের মহিলা সংসদ সদস্যদের তালিকা চুড়ান্ত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানাচ্ছে যে, মনোনয়ন প্রত্যাশিদের মধ্য থেকে ১০০ থেকে ১২৫ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা এখন প্রধানমন্ত্রীর হাতে। এই তালিকা থেকেই একাদশ জাতীয় সংসদের মহিলা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন বলে আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো জানিয়েছে। আওয়ামী লীগের এসব সূত্র বলে, প্রায় ১ হাজারের বেশিজন মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন এবং মনোনয়ন চেয়ে আবেদন জমা দিয়েছিলেন। এদেরকে নানাভাবে যাচাই বাছাই করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো বলছে, মোটামুটি ৫ টি প্রক্রিয়ায় মনোনয়ন প্রত্যাশিদের যাচাই বাছাই করা হয়েছে। এগুলো হলো:
১. গোয়েন্দা সংস্থাদের দিয়ে তাঁদের সম্পর্কে রিপোর্ট নেওয়া হয়েছিল।
২. তাদের সাংগঠনিক তৎপরতা এবং সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে দল থেকে প্রতিবেদন নেওয়া হয়েছিল।
৩. বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের অবদান বিবেচনা করা হয়েছিল।
৪. তাঁরা যে নির্বাচনী এলাকায় প্রতিনিধিত্ব করবেন। সেই এলাকায় তাদের অবস্থান এবং জনপ্রিয়তা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল।
৫. বিভিন্ন সময়ে রাজনীতিতে তাঁদের অবদানের বিষয়ে অনুসন্ধান চালানো হয়েছিল।
এসব প্রক্রিয়ার প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের যে সংক্ষিপ্ত মহিলা মনোনয়নের চুড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী ৮ এবং ৯ তারিখে মনোনয়ন প্রত্যাশিদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি এবং সংসদীয় বোর্ডের সদস্যরা। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, এবার মনোনয়নে তরুনদের জয়জয়কার হবে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ যে ৪৩ জনকে মনোনয়ন দিবে তাদের মধ্যে ২০ থেকে ২৫ জন তরুণ এবং প্রথমবারের মত এমপি হিসেবে আভির্ভূত হতে পারেন। একুশে আগষ্টের গ্রেনেড হামলাসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ক্রান্তিকালে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তাদের মধ্যে ৮ থেকে ১০ জন এবার সংসদে যেতে পারেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত স্বনামখ্যাত ব্যাক্তিদের মধ্য থেকে দুই থেকে তিনজনের সংসদে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। জাতীয় নির্বাচনে আগ্রহী ছিলেন মূল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ব্যাপারে উৎসাহী ছিলেন। মনোনয়ন দেওয়া হলে হয়তো জিততেও পারতেন। এরকম এলাকায় জনপ্রিয়দের মধ্যে থেকে দুই থেকে তিনজনকে এবার মহিলা কোটায় সংসদে আনা হতে পারে বলে জানা গেছে। প্রবীন আওয়ামী লীগ সদস্য, যারা জন্ম থেকেই এই দলের সঙ্গে যুক্ত আছেন এবং জীবন সায়ান্হে উপনীত হয়েছেন। কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত কোন এমপি, মন্ত্রী বা কোন সুযোগ সুবিধা আওয়ামী লীগ থেকে গ্রহণ করেননি। বরাবরই তারা আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রান হিসেবে প্রমানিত। তাদের থেকে চার পাঁচজন এবার মহিলা কোটায় মন্ত্রী হতে পারেন বলে জানা গেছে। এই সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রধানমন্ত্রী বিচার বিশ্লেষন করবেন এবং সামগ্রিক বিষয়গুলো বিবেচনা করে তালিকা চুড়ান্ত করবেন। তবে আওয়ামী লীগের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, যে সমস্ত নারী সদস্য দুবার মহিলা কোটায় এমপি হয়েছেন। তাদেরকে শুরুতেই বাদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও যারা দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ করেননি বা ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর যুক্ত হয়েছেন, তাদেরকেও এই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য যে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন। ১২ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই হবে, সেদিনই আসলে কারা চুড়ান্ত হচ্ছেন তা নির্ধারিত হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।