নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
একাদশ জাতীয় সংসদের নারী সংরক্ষিত আসনের মনোনয়নের দৌড়ে ছিলেন শমী কায়সার। অনেকে ধরেই নিয়েছিল, এবার শমী কায়সার মনোনয়ন পাবেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের কন্যা শমী কায়সার দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী থেকে তিনি মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু মনোনয়ন পাননি। নির্বাচনের সময় তিনি প্রচুর কাজ করেছেন। আওয়ামী লীগের হয়ে প্রচার প্রচারণা চালিয়েছেন। তার মা পান্না কায়সারও নারী সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ধারণা করা হয়েছিল, তিনি এবার মনোনয়ন পাবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।
তাকে বাদ দিয়ে সুবর্ণা মুস্তাফাকে মনোনয়ন দেয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। আওয়ামী লীগের দু’একজন বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার কানেও তুলেছেন বলে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘শমীর তো এখনও সময় আছে। ও তো কাজ করছে।’
এখান থেকে বোঝা যায় যে, প্রধানমন্ত্রী তার নিজস্ব বিবেচনাবোধ, মান অভিমান কিংবা অন্য কোন ব্যাপার না, শুধুমাত্র কৌশলগত কারণেই শমী কায়সার এবার মনোনয়ন পেলেন না।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।