নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০১ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
ডা. জাফরউল্লাহর উপর চটেছেন রুহুল কবীর রিজভী। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার পরিষদ’ আয়োজিত এক মানববন্ধনে বিএনপি-তারেক জিয়ার কঠোর সমালোচনা করেন। সেখানে তিনি তারেক জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, রিজভীর মাধ্যমে বৈঠক না ডেকে, ’দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিজে বৈঠকে বসেন। সময় নিয়ে আন্দোলন করেন। লন্ডনে বসে শুধু স্কাইপেতে কথা বললে আপনিও আরেকজন রিজভী হয়ে যাবেন।’
তিনি দলের সিনিয়র নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, শুধুমাত্র প্রেসক্লাব বা রাজনৈতিক কার্যালয়ে বসে বিবৃতি দিলেই কাজ হবে না। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সরকারের সঙ্গে একটি সংলাপের আহ্বান করেন ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী।
মানববন্ধন শেষে যখন তার এসব বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হওয়া শুরু হয়, তখন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। রিজভী ডা. জাফরউল্লাহকে টেলিফোন করে বলেন,‘নিজের চরকায় আপনি তেল দেন। আপনি যতটুকু না আওয়ামী লীগের সমালোচনা করছেন, তার চেয়ে বেশি সমালোচনা করছেন বিএনপির। আপনি কি বিএনপির সমালোচনা করার এজেন্সি নিয়েছেন? এজন্যই কি সরকার আপনাকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে পাঠিয়েছে?’ রিজভীর এসব কথায় ডা. জাফরউল্লাহ ক্ষিপ্ত হয়ে যান এবং বলেন, ‘তোমার কাছ থেকে আমার রাজনীতি শিখতে হবে না। তুমি বিএনপির যা ক্ষতি করেছো, এই ক্ষতি বিএনপির আর কেউ করতে পারেনি।’
দু’জনের মধ্যে টেলি বাদানুবাদের এক পর্যায়ে রুহুল কবীর রিজভী টেলিফোন রেখে দেন। এরপর তিনি বিএনপির অন্যান্য নেতার কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ করেন। সহানুভূতি জানানো ছাড়া কেউ এ ব্যাপারে তাকে সহযোগিতা করতে পারেনি।
ডা. জাফরউল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিএনপিতে কিছু ‘কথা বলা’ রাজনীতি করার লোক আছে। তারা কোন কাজ করে না। তারা ওপরে বসে বক্তব্য বিবৃতি দেয়। বক্তব্য বিবৃতি দিয়ে তারা বিএনপিকে আরও দুর্বল করছে। এটা করে বিএনপি আন্দোলনও করতে পারবে না এবং খালেদা জিয়াকে মুক্তও করতে পারবে না।’
তিনি বলেন,‘আমি গণতান্ত্রিক শক্তিকে বিশ্বাস করি। আমি জনগণ ছাড়া আর কারোর কাছে দায়বদ্ধ নই। যেটা আমার বিবেকে সঠিক মনে হয়েছে, সেটাই আমি করেছি। এতে যদি কেউ মনোঃকষ্ট পায়, দুঃখ পায়, তাতে আমার কিছু করার নেই।’
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।