নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫৯ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
সিদ্ধান্ত গ্রহণে পর পর দুটো চমক দেওয়ায় আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার উপর। প্রথমত সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচনে দলের ত্যাগী ও পোড় খাওয়া নেতাদের স্ত্রী কিংবা কন্যাদের মূল্যায়ন করেছেন দ্বিতীয়ত আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের ত্যাগী ও পরিক্ষিত নেতাদের উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিয়েছেন। তৃণমূলের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তাদের সে সন্তুষ্টির কথা।
এবিষয়ে সম্প্রতি সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি মনোনীত রুশেমা ইমাম বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, এবার সংরক্ষিত আসনে মহিলা সংসদ সদস্য নিয়োগে নেত্রী একক সিদ্ধান্তে যথাযথ মূল্যায়ন করেছেন। তিনি জানান,আওয়ামী লীগের প্রতি আমার প্রয়াত স্বামী ইমামউদ্দিন আহমেদের যে অবদান তার সঠিক মূল্যায়ন করেছেন তিনি। প্রয়াত ইমামউদ্দিন আহমেদ ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সহচর। শুধু রাজনীতি করেই জীবন উৎসর্গ করেছেন তিনি। জীবিত অবস্থায় তিনি কিছু না পেলেও এবার নেত্রীর মূল্যায়নে মূল্যায়িত হয়ে গৌরববোধ করছি। তিনি জানান, কেন জানি এবারই মনে হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আওয়ামী লীগের পুনর্জন্ম হয়েছে। তার মতে, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার এমন মূল্যায়নে সবাই গৌরববোধ করছেন।
একই ধারাবাহিকতায় সব বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে এবার আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলের সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদকদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। দেশের অধিকাংশ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কিংবা উপজেলা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের অভিমত, স্বাধীনতার পর এই প্রথম দলের তৃণমূলের নেতারা সরাসরি দলীয় সভাপতি কর্তৃক মূল্যায়িত হলো। সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য কিংবা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে কোন মন্ত্রী-এমপির কোন সুপারিশ এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোনেননি। সবকিছু মিলিয়ে এবারই ত্যাগীদের মূল্যায়নে সন্তুষ্ট তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বিএনপি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শামা ওবায়েদ সারাহ কুক
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-এমপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনাটি জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপি পরিবারের সদস্য স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না। এটি আওয়ামী লীগ সভাপতির একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যন্ত যে পরিবারতন্ত্র ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিভিন্ন জায়গায় যে জমিদারি প্রথা তৈরির শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল সেটা প্রতিরোধের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতির এই উদ্যোগ তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।