নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৩ এএম, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
গত ৭ জানুয়ারি গঠিত ৪৭ সদস্যের মন্ত্রিসভায় একটা মন্ত্রণালয়ে কোনো মন্ত্রী, উপমন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী কিছুই দেওয়া হয়নি। সেটা হলো মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বর্তমানে এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে আছে। এই মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব দেওয়া হয়েছে। সাবেক প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কামরুন্নাহারকে রাষ্ট্রপতির কোটায় এখানে সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচনের পর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী দেওয়ার চিন্তা ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি তিনদিনের সফরে জার্মানির মিউনিখে যাচ্ছেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি তিনি দেশে ফিরবেন।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে যে, প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে একজন প্রতিমন্ত্রী দেওয়া হবে। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তিনজনের নাম আলোচনায় আছে। এদের একজন হলেন, মানবাধিকার এবং উন্নয়নকর্মী এ্যারোমা দত্ত। তিনি এবার সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সম্ভাব্য প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় যার নামটি শোনা যাচ্ছে তিনি হলেন সূবর্ণা মুস্তাফা। তিনি এবছর একুশে পদক পেয়েছেন। এবং সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন।
এছাড়াও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদে নির্বাচন করে পরাজিত আনজুম সুলতানাকেও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করার বিষয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। তিনি এবার সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন।
এছাড়াও দেখা যাচ্ছে যে, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কে এম খালেদ দায়িত্ব পালন করছেন। এখানেও একজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে উপমন্ত্রী বা পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে যে, ২১ ফেব্রুয়ারির পর মন্ত্রিসভায় আরও কজন নতুন মুখ আসতে পারে।|
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।