নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচন উপলক্ষে প্যানেল চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন ও উপজেলা মনোনয়নের মতো এখানেও চমক সৃষ্টি করেছে দলটি। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতিতেও হেভিওয়েটরা বাদ পড়েছেন। এখানেও নতুনের জয়গান গেয়েছে আওয়ামী লীগ। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে সভাপতি পদে এ এম আমিনউদ্দিনকে এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মো. আব্দুন নূর দুলালকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে আওয়ামী পন্থী আইনজীবীদের মধ্যে গত কয়েকবছর ধরেই অন্তর্কলহ, দ্বন্দ্ব বিদ্যমান রয়েছে। এর ফলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি বিএনপির আইনজীবীদের করায়ত্ত। বিএনপির প্যানেলই এখানে বারবার বিজয়ী হন। তারা আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফায়দা লুফে নেয়।
এবার আওয়ামী লীগ কোন্দলমুক্ত হতে বদ্ধপরিকর। নির্বাচনে জয়ী হয়ে সুপ্রিম কোর্টকে বিএনপি মুক্ত করতে চায়। এ জন্য এতদিন কোন্দলে থাকা হেভিওয়েটদের বাদ দেয়া হয়েছে। বাসেত মজুমদার, ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, আবদুল মতিন খসরু, মেজবাহ আহমেদ, ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলামের মতো সিনিয়র নেতাদের বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত তরুণ এ এম আমিনউদ্দিনকে সভাপতি পদে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের অধীনে পেশা জীবন শুরু করেন আমিনউদ্দিন। তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক পদে একবার বিজয়ী হয়েছিলেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।