নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদে প্রথম ধাপে ৮৭ ও দ্বিতীয় ধাপে ১২২ জন মনোনীত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগ। উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য কোন একক প্রার্থী আওয়ামী লীগ দেয়নি। এ দুটি পদ উন্মুক্ত করে দিয়েছে দলটি।
তবে চেয়ারম্যান পদের জন্য আওয়ামী লীগ যাদেরকে মনোনয়ন দিয়েছে এর বাইরেও আওয়ামী লীগের কেউ যদি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চায় তাদেরকে বাধা দেবে না আওয়ামী লীগ। দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতারা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এর প্রধান কারণ হলো, যেহেতু এই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করছে না। তাই নির্বাচন যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয় সেজন্য আওয়ামী লীগ তাদের দলের যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে উৎসাহী তাদেরকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার সুযোগ দিতে চায়।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলছে, শুধুমাত্র অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করাই বিদ্রোহীদের উন্মুক্ত করে দেয়ার পিছনে একমাত্র কারণ নয়। এর আরেকটি বড় কারণ হলো, আওয়ামী লীগ আসলে স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের জনপ্রিয়তা দেখতে চায়। তারা কতটুকু সাংগঠনিক দক্ষতা দেখাতে পারে সেটাও আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা দেখতে চায়। তাই এবারের উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য অন্যরকম একটি তাৎপর্য বহন করছে। আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে কে বেশী জনপ্রিয় তার একটি পরীক্ষাও আওয়ামী লীগ নিতে চায়।
আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় একজন নেতা বলেছেন, যদি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কোন প্রার্থী নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে পরাজিত করে বিজয়ী হতে পারে, তাহলে বুঝতে হবে ঐ নেতা এলাকায় অনেক জনপ্রিয়। দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে পরবর্তীতে তাকে দলের কাজে লাগানো যাবে। আওয়ামী লীগ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ার আরেকটি কারণ হলো, যদি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়, তাহলে তাকে আওয়ামী লীগে নিয়ে আসার সুযোগ থেকে যাবে। এর ফলে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে যারা উপজেলা চেয়ারম্যানের মনোনয়ন যারা পেয়েছেন বা পাননি, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী হিসেবে উভয়ের সঙ্গেই প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একটি সখ্যতা তৈরি হয়েছে। তাই যারা মনোনয়ন পেয়েছেন তারাই যে শুধু প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতা পাবেন সেরকম কোন সুযোগ এক্ষেত্রে থাকবে না। শুধু প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাহায্য নিয়ে নির্বাচনের ফলাফল নিজের পক্ষে আনা কষ্টসাধ্য হবে। এখানে বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীও সমান সুবিধা পাবে।
আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ মনে করে, এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল বা দ্বন্দ্ব বেড়ে যেতে পারে। যারা স্বতন্ত্র দাঁড়াবেন তারা আওয়ামী লীগের একটি অংশকে নিয়েই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সেক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাচনে একটি বিভক্ত আওয়ামী লীগের দেখা মিলতে পারে।
তবে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা এ ধরনের আশঙ্কা নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, আওয়ামী লীগ একটি বড় রাজনৈতিক দল। দলীয় কোন্দল আওয়ামী লীগের একটি সার্বক্ষণিক বিষয়। এটি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। আওয়ামী লীগ তখনই ঐক্যবদ্ধ হয় যখন আওয়ামী দুঃসময়ের মুখোমুখি হয়। বরং এ ধরনের সুযোগ দিলে তৃণমূল পর্যায়ে নেতৃত্বের চর্চা হবে। সবাই জনগণের কাছে যাওয়ার সুযোগ পাবে এবং দলের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতা তৈরি হবে। এখন পর্যন্ত দেখা গেছে প্রতিটি উপজেলায় অন্তত চারজন এবং কোন কোন উপজেলায় ৮ থেকে ১০জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগ্রহী হয়েছে। কাজেই বিএনপি বা সমমনা দলগুলো যেটা আশঙ্কা করেছিল, উপজেলা নির্বাচনেও ক্ষমতাসীন দল প্রভাব বিস্তার করবে। সেরকটি হবে না। বরং উপজেলা নির্বাচন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে বলেই আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।