নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
বিএনপির সব গোপন তথ্য ফাঁস করবে জামাত। জামাতের এক নীতি নির্ধারনী সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএনপিকে বিভিন্নমহল যে ক্রমাগ্রতভাবে জামাতকে ছাড়ার জন্য চাপ দিচ্ছে এবং বিএনপিরও কোন কোন নেতা বলছে যে, জামাতকে বাদ না দিলে বিএনপির ভবিষ্যৎ অন্ধকার। সেই প্রেক্ষিতে বিএনপির গোপন কিছু তথ্য ফাঁস করে দিবে জামাত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, জামাত দেখতে চায় যে, বিএনপি ২০ দল বিলুপ্ত করে কিনা। বিএনপি জামাতের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করে কিনা। জামাত নিজে যেচে বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করবে না। এ বৈঠকে জামাত এবং বিএনপির সম্পর্কের বিভিন্ন ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা হয়। জামাত যে বিভিন্ন সময় বিএনপিকে মোটা অঙ্কের আর্থিক সহায়তা করেছে সে সম্পর্কে নেতারা আলোচনা করেন। বৈঠকসূত্রে প্রাপ্ত তথ্য খবরে জানা গেছে , সৌদি আরবসহ মুসলিম দেশগুলো থেকে বিএনপি নিয়মিত অর্থ পেত সংগঠন পরিচালনা এবং নির্বাচনের জন্য। সেই অর্থ আসতো জামাতের মাধ্যমে। জামাত সৌদি আরবসহ কয়েকটি মুসলিম দেশে বাংলাদেশে মুসলিম উম্মাহ প্রতিষ্ঠা এবং মুসলমানদের হেফাজতের জন্য বিএনপিকে অর্থ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছিল। সেই সুপারিশের প্রেক্ষিতেই ১৯৮৮ সাল থেকে জামাত সৌদি আরব, কাতারসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশুগুলো থেকে নিয়মিত অর্থ পেত। শুধুমাত্র মুসলিম দেশগুলো নয়, পাকিস্তানের সঙ্গে বিএনপির সু-সম্পর্ক তৈরীতেও জামাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল বলে জামাতের নেতারা জানিয়েছেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপিকে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই দিয়েছিল। সেটা জামাতের সুপারিশেই দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় জামাত পাকিস্তানকে জানিয়েছিল যে, পাকিস্তানি ভাবধারা বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে এবং পাকিস্তানি স্বার্থ রক্ষা করতে পারে একমাত্র বিএনপি। জামাতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আর্থিক কারণেই মূলত বিএনপি জামাতকে ছাড়তে রাজি নয়। যদি বিএনপি জামাতকে ছাড়ে তাহলে বিএনপির যে মোটা অঙ্কের অর্থের উৎস, সেটা বন্ধ হয়ে যাবে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির নানা দু:অবস্থা, সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং নেতৃত্বের সংকটের কারণে এমনিতেই বিএনপিতে বৈদেশিক অর্থের উৎস কমে এসেছে। আওয়ামী লীগের যে পরিবর্তিত নীতি এবং আওয়ামী লীগের যে অবস্থান সে অবস্থানে মুসলিম উম্মাহ সন্তুষ্ট। তারা মনে করেন, বাংলাদেশের মুসলমান এবং ইসলামী স্বার্থ রক্ষার জন্য আলাদা কোন দলকে পৃষ্টপোষকতা করার দরকার নেই। বরং আওয়ামী লীগই মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার জন্য ভালো কাজ করছে।
বিশেষ করে, ২০০৮ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুসলিম উম্মাহর সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে এখন ভালো অবস্থানে। সৌদি আরবের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরী হয়েছে। সৌদি আরবে যে সম্মিলিত সেনা সুরক্ষা দল তৈরী করা হয়েছে সেখানে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমেই বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে এখন মুসলিম দেশগুলো বিএনপি এবং জামাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যে কারণে এই দুটি দলই এখন আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে। জামাতের মাধ্যমে বিএনপি যে সমস্ত তথ্য ও অর্থ পেয়েছে। সেই সবের যাবতীয় তথ্য জামাতের কাছে আছে। জামাতের অনেকেই বলছেন, বিএনপি যদি এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করে, জামাতকে ছাড়ার জন্য যদি চাপ সৃষ্টি করে। তাহলে এই তথ্যগুলো তারা প্রকাশ্যে আনবে। তাতে বিএনপির রাজনীতি বিব্রত হবে।
শুধু আর্থিক লেনদেনের বিষয় নয়। ৭৫ এর ঘাতকদের পুনর্বাসন করা এবং বিভিন্ন মৌলবাদী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রেও জামাত বিএনপির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই প্রেক্ষিতে জামাত মনে করছে যে, বিএনপি যদি তাদেরকে ছেড়ে নতুন জোট করতে চায়, সেটা তাদের বিষয়। তখন জামাত পর্যায়ক্রমে বিএনপির মুখোশ উম্মোচন করবে। তবে বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপি জামাতকে ছাড়বে এই মুহুর্তে এমন কোন সিদ্ধান্ত তাদের মধ্যে হয়নি। অন্যদিকে জামাতের একাধিক নেতা বলেছে, জামাতও চায় না বিএনপি তাদের ছাড়ুক। কারণ জোট ভেঙ্গে গেলে দুই দলেরই ক্ষতি হবে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।