নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৫ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে রাজনীতির মাঠে শক্ত অবস্থানেই আছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে আপাতত গোপনে দল গোছানোর কাজ করছেন দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব। ইতিমধ্যে সারাদেশের আমীর নির্বাচনেরও কাজ শেষ করেছে দলটির নেতারা। এরই মধ্যে নতুন কাউন্সিলেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটির বর্তমান নেতৃত্ব। চলতি মাসেই কেন্দ্রীয় শুরা কমিটির বৈঠকে নিষ্পত্তি হবে বেশ কয়েকটি অমীমাংসিত বিষয়। এক দশক ধরেই প্রচণ্ড রাজনৈতিক চাপে আছে দলটি। গত কয়েক বছর ধরে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত হয়ে দলটির প্রথম সারির প্রায় সব নেতাই দণ্ডিত হয়েছেন। কারো ফাঁসি কার্যকর হয়েছে আবার কেউ কেউ আজীবন দণ্ড নিয়ে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্টে আছেন। আর এসব প্রতিকূলতা পেরিয়ে বর্তমান নেতৃত্ব জামাতকে এগিয়ে নিতে চুপি চুপি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। মাঠে দলের কর্মী কিংবা নেতাদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে নানামুখী সাংগঠনিক কার্যক্রম দেয়া হচ্ছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে একক প্রার্থী দিয়ে স্বতন্ত্র ব্যাপারে অংশ নেয় দলটির নেতারা। কোথাও কোথাও শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলে। আসন্ন উপজেলা নির্বাচনেও জামাত প্রার্থীরা তৎপরতা চালাচ্ছে। জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে চায় দলটি। ইতিমধ্যে দলের কর্ম পরিষদ সদস্যরা গোপন বৈঠক করে এমন ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সূত্রগুলো জানায়, এত ঘটনার পরও জামাতের বর্তমান নেতৃত্বের মনোবল কোনভাবেই ভাঙেনি। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, সারাদেশে জামাতের শক্ত সাংগঠনিক ভিত্তি রয়েছে। তাছাড়া জামায়াত নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানগুলোও অর্থনৈতিকভাবে বেশ শক্তিশালী। অর্থের যোগান ওই সব প্রতিষ্ঠান থেকে হয়ে থাকে বলেও সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।
এদিকে, বর্তমান বাস্তবতায় এবং অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে জামায়াতে ইসলামী বর্তমান নাম পরিবর্তনের চিন্তা করছে দলটি। দলটির সূরা সদস্যরা এমন প্রস্তাব করেছেন। তবে নাম কী হবে বা কবে নাগাদ নতুন নাম আসবে- তা কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। জামাতের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য।
জানা গেছে, জামায়াত ইসলামীর তরুণ নেতাদের বেশিরভাগই চায় নতুন নামে আসুক জামাত। অতীত ভুলের জন্য প্রয়োজনে ক্ষমা চেয়ে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধের চেতনায় রাজনীতিতে সক্রিয় থাকুক। তাদের যুক্তি হচ্ছে-নাম বদলালে জামাত ক্ষতিগ্রস্ত নয়, বরং লাভবানই হবে।
সূত্র জানায়, গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে জামায়াতে ইসলামীর মজলিশে শুরার বৈঠক হয়। পরিস্থিতির কারণে একসঙ্গে এ বৈঠক করতে না পারায়, সারা দেশের ১৩টি অঞ্চলে আলাদাভাবে একইদিনে শুরার সদস্যরা বৈঠক করেন। এরপর লিখিত আকারে তাদের মত কেন্দ্রে পাঠানো হয়। এ বৈঠকেই উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার বিষয়ে মত দেন শুরার সদস্যরা। একই বৈঠকে জামাতের বর্তমান নাম পরিবর্তন করার প্রস্তাবও করেন শুরা সদস্যরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফরিদপুর অঞ্চলের জামাতের প্রভাবশালী এক সদস্য জানান, সাংগঠনিকভাবে প্রায় ১০ বছর ধরে অনেকটা নিষিদ্ধ অবস্থায় আছে দলটি। তাদের প্রভাবাধীন আর্থিক ও সেবামূলক অনেক প্রতিষ্ঠান সরকারি দলের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। ঐ নেতা আরো জানান, তারা ইতিমধ্যে দল গোছানোর কাজ করছেন। সারা দেশের বেশিরভাগ জেলায় জামাতের আমীর নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরপরই নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরই মধ্যে নির্বাচিত আমীররা শপথ গ্রহণ করেছেন। নাম বদলানোর বিষয়টি জোরালোভাবে বিবেচনায় আছে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
বিএনপি জনপ্রিয় নেতা কর্নেল অলি আহমদ মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।