নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪৬ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
‘দলের জন্য কাজ করতে না পারলে দল ছেড়ে-ব্যবসায় নেমে পড়েন’-তারেক রহমানের এমন বার্তায় বিএনপির অভ্যন্তরে তোলপাড় চলছে। সিনিয়র অনেক নেতা বিষয়টি সহজভাবে নেননি। অনেকেই প্রকাশ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার কারাবরণের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিএনপির সিনিয়র ১২০ নেতাকে হোয়াটসঅ্যাপ-এ মেসেজ পাঠিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছেন, সিনিয়র নেতাদের মধ্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এধরনের ক্ষুদেবার্তা পেয়েছেন।
মেসেজ পাওয়ার পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান ক্ষোভ জানিয়ে দলের এক ভাইস চেয়ারম্যানকে বলেছেন, জিয়াউর রহমান কোনদিন অসম্মান করে কথা বলেননি অথচ তারই সন্তান প্রবীণ নেতাদের অসম্মান করে বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা দিচ্ছেন বিষয়টি তাদের জন্য খুবই বিব্রতকর। সহসাই বিএনপির রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়ারও ইঙ্গিত দেন বিএনপির প্রবীণ এ রাজনীতিবিদ। তবে ড. মঈন খান বিষয়টি এক আইনজীবির মাধ্যমে কারাগারে বেগম খালেদা জিয়ার কাছে বিষয়টি তুলে ধরেন।
জানা গেছে, সামাজিক মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপের ঐ মেসেজ এ তারেক রহমান নেতাদের ‘প্রিয় মহোদয়’ বলে সম্বোধন করেছেন। মেসেজের শুরুতেই বিএনপির ঐতিহ্য এবং এদেশের মানুষের কাছে দলের জনপ্রিয়তার প্রসঙ্গ এনে লেখা হয় জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপিতে। এছাড়া বেগম জিয়ার কারাবরণ, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়েছে মেসেজে। তাতে সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি এসেছে বিএনপির ব্যর্থতার কথাও। বিএনপি অপশক্তিকে রুখে দিতে পারেনি বলেও মন্তব্য করা হয়েছে মেসেজে। তবে দলের নেতাদের অতীত ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে হোয়াটস অ্যাপ মেসেজে বলা হয়েছে ‘আপনাদের ত্যাগ এবং পরিশ্রমের কারণেই বিএনপি বিপুল জনপ্রিয় রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে টিকে আছে।’ মেসেজে তারেক রহমান বর্তমান সময়কে দলের কঠিন সময় হিসেবে চিহ্নিত করে দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া নেতাদের বিভ্রান্ত এবং হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলা হয়েছে ‘হয় কাজ করুন, না হলে পদ ছাড়ুন।’
এদিকে মেসেজের বিষয়ে বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা মনে করছেন, বিএনপিতে ইতিমধ্যেই তারেক রহমানকে আপাতত দলের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার পক্ষে মত তৈরি হয়েছে। তার পাল্টা জবাব হিসেবেই হোয়াটস অ্যাপ মেসেজ দিয়ে দলে নিজের শক্ত অবস্থান বোঝানোর চেষ্টা করছেন তারেক রহমান, এমনই মনে করছেন বিএনপির অনেক শীর্ষ নেতা।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বিএনপি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শামা ওবায়েদ সারাহ কুক
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-এমপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনাটি জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপি পরিবারের সদস্য স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না। এটি আওয়ামী লীগ সভাপতির একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যন্ত যে পরিবারতন্ত্র ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিভিন্ন জায়গায় যে জমিদারি প্রথা তৈরির শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল সেটা প্রতিরোধের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতির এই উদ্যোগ তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।