নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
বিএনপির শতাধিক আটক নেতাকর্মীর স্ত্রী, কন্যা এবং মায়েরা তারেক জিয়ার কাছে একটি চিঠি লেখার উদ্যোগ নিয়েছেন। চিঠির খসড়াটি এখন চুড়ান্ত হয়েছে। বিএনপির আটক একজন সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বেগম খালেদা জিয়ার একজন ব্যাক্তিগত সহকারীর পরিবারের পক্ষ থেকে এরকম চিঠি পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই চিঠির যে খসড়া তৈরী করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে যে, মায়ের জন্য হলেও দেশে ফিরে আসুন। আপনি বিদেশে থেকে যদি রাজনীতি করেন তাহলে বিএনপির ক্ষতি ছাড়া লাভ হবে না। বিএনপি এখন নেতৃত্ব শুন্য। এতিম একটা রাজনৈতিক দলে পরিনত হয়েছে। বিএনপিকে বাচানোর জন্য এখন প্রয়োজন নেতৃত্বের।’ চিঠিতে তারা এও বলেছেন, বিএনপির কথা বাদই দেন, আপনি একজন সন্তান এবং এখন বেগম জিয়ার একমাত্র সন্তান। আমাদের সন্তানরা জেল খাটছে দীর্ঘদিন ধরে। আমাদের বিএনপি বা অন্যকেউই আইনগত সহায়তা দিচ্ছে না। আইনী লড়াই করতে করতে আমরা দেউলিয়া প্রায় হয়ে গেছি। এই পরিস্থিতিতে আমরা বুঝি যে, বেগম খালেদা জিয়ার কষ্টটা কতটুকু। ‘
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে যে, ‘বেগম খালেদা জিয়া এখন বয়ো-বৃদ্ধ একজন প্রবীণ মানুষ। তিনি নানা অসুস্থতায় ভুগছেন। এসময় আপনার অবশ্যই পাশে থাকা উচিত। আপনি যদি দেশে আসেন, তাহলে তিনি সাহস ও শক্তি পাবেন। আপনি যদি তার মুক্তির জন্য চেষ্টা নাও করেন, আপনার উপস্থিতি তাকে অনেক শক্তির সঞ্চার দিবে।’
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘কোন সুসন্তান মায়ের এই দু;অবস্থায় দূরে থাকতে পারে না। সন্তান হিসেবে আপনার একটা দায়িত্ব আছে। আপনি একজন সত্তোর্ধ প্রবীন মাকে এরকমভাবে রেখে আপনি যে বিদেশে অবস্থান করছেন। এটা আমাদের সংস্কৃতিতেই শুধু নয়, আমাদের পারিবারিক রীতিতেও এটা একটা গর্হিত কাজ।’
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘একজন বৃদ্ধা মাকে যখন বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানো হয়। সেটা যেমন আমাদের সমাজে অপরাধের দৃষ্টিতে দেখা হয়। তেমনি আপনি যে আপনার মাকে জেলে রেখে লন্ডনে বিলাস বহুল জীবন যাপন করছেন। সেটাকেও মানুষ খারাপ চোখে দেখছে।’
এই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘দেশে আসলে আপনার কী হবে? আপনাকে কারাভোগ করতে হবে। আপনার জন্য আমরা আন্দোলন করবো। জামিনের জন্য চেষ্টা করবো। কিন্তু ইতিহাসে একটা মর্যাদার আসনে আপনি থাকবেন যে আপনি মায়ের জন্য মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে দেশে এসেছেন।কিন্তু আপনি যদি দেশে না এসে লন্ডনেই আরাম আয়েশের জীবন কাটান। তাহলে মনে করা হবে, আপনি একজন অযোগ্য সন্তান। সন্তান হওয়ার যোগ্যতাই আপনার নেই। আমাদের কথা বাদই দিন, আপনার মা বেগম খালেদা জিয়া নানা রোগে আক্রান্ত। আপনি যদি সন্তান হিসেবে নূন্যতম দায়িত্ব পালন করতে চান, তাহলে আপনার উচিত অবিলম্বে সমস্ত ভয় ভীতি উপেক্ষা করে দেশে এসে বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়া। তাহলেই সন্তানের দায়ভার পালন করবেন। ‘
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, আপনাকে মনে রাখতে হবে। যিনি মায়ের প্রতি কর্তব্য পালন করতে পারেন না। তিনি কখনোই দেশের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে পারে না। মাকে যে ভালোবাসে না, সে দেশকেও ভালোবাসে না। ‘
এই চিঠিতে শতাধিক আটক নেতাকর্মীর মা, বোন বা স্ত্রীরা স্বাক্ষর করবেন। স্বাক্ষর করে এটি তারেক জিয়ার কাছে পাঠানো হবে বলে বিএনপির একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।