ইনসাইড পলিটিক্স

প্রধানমন্ত্রীর গুডবুকে যাঁরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

টানা তৃতীয়বারের মত দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ। চতুর্থবারের মত দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রীর একটি লক্ষ্য স্পষ্ট। সেটি হলো, তিনি তরুণদের তুলে আনতে চান। তরুণ নেতৃত্বকে সামনে আনতে চান। এমপি মনোনয়ন, নতুন মন্ত্রিসভা গঠন, সংরক্ষিত আসনে নারী সদস্য মনোনয়ন এবং উপজেলা মনোনয়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি একটি কথা স্পষ্ট করেছেন তাহলো, তিনি এখনি আগামী দিনের নেতৃত্ব তৈরী করতে চান। নতুন নেতৃত্বকে যোগ্য এবং আগামী দিনের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করতে চান। এবার মন্ত্রিসভায় তিনি যেমন তরুণদের প্রাধান্য দিয়েছেন, পাশাপাশি তিনি তরুণদের নিয়ে নতুন সাংগঠনিক বিন্যাস করার ব্যাপারেও লক্ষ্য স্থির করেছেন। সেটা ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই স্পষ্ট হয়ে গেছে।

তরুণদের যেমন তিনি উৎসাহ দিচ্ছেন। তরুণদের যেমন তিনি আগামী দিনের আওয়ামী লীগ এবং সরকার পরিচালনার জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে চাইছেন। তেমনি তার কিছু পছন্দের তারুণ্য স্পষ্ট। প্রধানমন্ত্রীর যে কয়েকজন স্নেহ ধন্য হচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী যাদের নিজের হাতে গড়ে তুলতে চাচ্ছেন, এবারের সরকার বিন্যাসে তা সুস্পষ্ট হয়েছে। এদেরকেই প্রধানমন্ত্রী আগামী দিনের নেতৃত্বের জন্য নিজ হাতে তৈরী করছেন। এটা সহজেই বোঝা যাচ্ছে।

এদের মধ্যে অন্যতম হলেন...

এনামুল হক শামীম: দীর্ঘদিন ধরেই প্রধানমন্ত্রী তাকে গড়ে তুলছেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচনের জন্য মনোনিত করেছিলেন। তিনি ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের। তার হাতে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব তুলে দিয়েছিলেন। ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছিলেন। ১৯৯৬-২০০১ সালের শেষদিকে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত স্টাফ হিসেবেও এনামুল হক শামীম কাজ করেছিলেন। গত কাউন্সিলে এনামুল হক শামীমকে তিনি দলের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ দেন এবং প্রধানমন্ত্রীর স্নেহধন্য এই সাবেক ছাত্র নেতাকে এবারই প্রথম মনোনয়ন দেওয়া হয়। মনোনয়ন পেয়েই তিনি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। বোঝা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর আপাত স্নেহ তার কাছে আছে এবং প্রধানমন্ত্রী তা দীর্ঘদিন ধরে প্রয়োগ করছেন। তাকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার একটা পরিকল্পনা প্রধানমন্ত্রীর রয়েছে।

মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল: আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কান্ডারি, চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় রক্ষক প্রয়াত মহিউদ্দীন চৌধুরীর সন্তান তিনি। মহীউদ্দীন চৌধুরির মৃত্যুর পর থেকেই নওফেল প্রধানমন্ত্রীর স্নেহ ধন্য হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে গড়ে উঠতে সাহায্য করেছেন। রাজনৈতিক শিষ্য হিসেবে তাকে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। এবারের নির্বাচনে মহাজোটের একজন হেভিওয়েট প্রার্থীকে বাদ দিয়ে নওফেলকে মনোনয়ন দেন। প্রথমবার নির্বাচিত হওয়ার পরই তাকে শিক্ষা বিষয়ক উপমন্ত্রী করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর গুডবুকে যে নওফেল আছেন তা খুবই স্পষ্ট।

বিপ্লব বড়ুয়া: তিনি একজন ব্যারিস্টার। তিনি নির্বাচন করেননি, কিন্তু নির্বাচনকালীন সময়ে বিভিন্ন কর্মকান্ডে প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠতা অর্জন করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের ব্যাক্তিতে পরিনত হন। নির্বাচনের পরেও তিনি দলীয় কর্মকান্ডে অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। বিশেষ করে দাপ্তরিক কাজে আওয়ামী লীগে শুন্যতা সৃষ্টি হয়েছিল। আব্দুল মান্নান খান, আব্দুস সোবহান গোলাপদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ার পরে দক্ষ এবং সার্বক্ষনিক দাপ্তরিক কাজের জন্য একজন দরকার ছিল। সে দায়িত্বটা বিপ্লব বড়ুয়া অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গেই পালন করছেন। যে কারণে প্রধানমন্ত্রীর সুনজড়েও তিনি এসেছেন। এবার তিনি মনোনয়ন চাননি, মনোনয়নের জন্য আগ্রহ প্রকাশও করেননি। এ কারণেই প্রধানমন্ত্রীর স্নেহ তার প্রতি আরও বেড়েছে বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে।

আনজুম সুলতানা সীমা: কুমিল্লা অঞ্চলের আওয়ামী লীগ নেতার মেয়ে তিনি। তাকে কুমিল্লা সিটি করপোরশনের নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীন কোন্দলের জন্য সেই নির্বাচনে আনজুম সুলতানা বিজয়ী হতে পারেননি। বিজয়ী না হলেও প্রধানমন্ত্রীর স্নেহ থেকে তিনি বঞ্চিত হননি। এবার সংরক্ষিত মহিলা আসনে আনজুমকে নির্বাচিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত স্নেহ যে তার প্রতি রয়েছে, এটা আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় সবাই জানেন। এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি হওয়ার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে তাকে আগামী দিনের নেতৃত্বের জন্য গড়ে তুলতে চান তা স্পষ্ট হয়েছে।

এছাড়াও আরও অনেক তরুণ রয়েছে, যাদেরকে প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত পরিচর্যা এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে তৈরী করছেন। তারাই হয়তো আগামী দিনে দলের মূল কান্ডারি হবেন। সেজন্যই তিনি দলকে প্রস্তুত করছেন। তৃতীয় দফায় দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি সরকারে যেমন নতুন রক্ত প্রবাহ সঞ্চালন করতে চেয়েছেন, তেমনি আগামী দিনের আওয়ামী লীগ প্রস্তুত করার উদ্যোগ নিয়েছেন।


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ব্যারিস্টার খোকনের অব্যাহতি নিয়ে বিএনপিতে বিভক্তি

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত বিরোধ ও তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে মত বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের অনেকের। সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে তুমুল জনপ্রিয় এই নেতাকে বাদ দেওয়ায় ফোরামের নেতাদের ওপর ক্ষুব্ধ বিএনপির সিনিয়র নেতারাও। এ নিয়ে বিএনপিতে এখন বিভক্ত স্পষ্ট।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলটির দুজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, তাদের কাছে মনে হয়েছে বিষয়টি নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে। ব্যারিস্টার খোকন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাতবারের সম্পাদক। তিনি দলেরও একজন সিনিয়র নেতা। তার মতো নেতাকে এভাবে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দিয়ে অসম্মানিত করাটা মোটেই ঠিক হয়নি। 

বিএনপি নেতারা বলছেন, ফোরামের ভেতরকার অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে মাহবুবউদ্দিন খোকনকে কোণঠাসা করার অপচেষ্টা করছে একটি পক্ষ। ওই পক্ষটি ফোরামের একক নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে। যেটি খোকনের জনপ্রিয়তার কাছে আদৌ সম্ভবপর হয়ে উঠছে না, সেটিও তারা জানে।  

অন্যদিকে ব্যারিস্টার খোকনের সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের সেক্রেটারি ব্যারিস্টার কায়সার কামালকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বক্তব্য দেওয়াটাও সমীচীন হয়নি বলে মনে করেন কেউ কেউ। 

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন তার অব্যাহতি নিয়ে কোনো কথা বলেননি। তিনি ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন ব্যারিস্টার কায়সার কামালের বিরুদ্ধে। যা নিন্দনীয় ও অরুচিকর। তার মতো সিনিয়র নেতার কাছে এমনটা আশা করিনি। 

উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার কায়সার কামালকে অর্বাচীন বালক ও কুলাঙ্গার আখ্যায়িত করে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন বলেন, সময় এসেছে তাকে দল থেকে বহিস্কারের। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশেই তিনি বার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন এবং দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বলেও দাবি করেন খোকন। কায়সার কামালের নৈতিক স্খলনের দায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটিকে অনুসন্ধানের আহবানও জানান বিএনপি থেকে নবনির্বাচিত বার সভাপতি খোকন। 

এর আগে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করায় বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব খোকনকে ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে চিঠি দেওয়া হয় গত শনিবার। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে তাকে অব্যাহতির কথা জানানো হয়। এ নিয়ে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামালের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন খোকন। তিনি কায়সার কামালকে ‘অর্বাচীন বালক’ বলে আখ্যায়িত করেন। নৈতিক স্খলনের কারণে দল থেকে কায়সার কামালের বহিষ্কারও দাবি করেন।

ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড নেওয়া হচ্ছে বিএনপি নেতা মিন্টুকে

প্রকাশ: ০৫:৫৪ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে তিনি থাই এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজে থাইল্যান্ড রওনা হয়েছেন।

বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে তার চিকিৎসা সেবা নেওয়ার কথা হয়েছে।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল বুকে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মিন্টু ।

১৯ এপ্রিল রাত ২টার দিকে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

থাইল্যান্ড   আবদুল আউয়াল মিন্টু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জামায়াতে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

প্রকাশ: ০৪:১৩ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহে হিট অ্যালার্টের মধ্যে আল্লাহর রহমতের বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়ের কর্মসূচি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, সম্প্রতি প্রচণ্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টিতে দেশের আবহাওয়া অত্যন্ত উষ্ণ হয়ে পড়েছে। উচ্চ তাপমাত্রার কারণে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। একদিকে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে প্রচণ্ড গরম, অন্যদিকে অনাবৃষ্টিতে মানুষ, পশু-পাখি ও জীব-জন্তুর জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। একমাত্র মহান রাব্বুল আলামীনই আমাদেরকে এহেন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ দিতে পারেন। 

তিনি আরও বলেন, সারা দেশের মানুষ গরমে কষ্ট পাচ্ছে। বিশেষ করে কৃষক-শ্রমিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার শ্রমজীবী মানুষ কর্মক্ষেত্রে প্রচণ্ড গরমে কষ্ট পাচ্ছে। গত ২২ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে একজন রিকশাওয়ালা প্রচণ্ড গরমে মারা গেছেন। দেশে বিরাজমান এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য মহান আল্লাহ তাআলার অবারিত রহমত তথা বৃষ্টি কামনা করে সালাতুল ইস্তিসকার নামাজ করার জন্য ওলামায়ে কেরাম, জামায়াতের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও দেশবাসী সবার প্রতি আমরা উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। 

এই জামায়াত নেতা বলেন, এ জন্য আগামীকাল বুধবার ও বৃহস্পতিবার (২৪ ও ২৫ এপ্রিল) জামায়াতে ইসলামীর সকল সাংগঠনিক শাখার উদ্যোগে জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে সালাতুল ইস্তিসকার আদায়ের কর্মসূচি সফল করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

জামায়াত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশবিরোধী অপশক্তি ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ঠ করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।


আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন: ভোট ছাড়াই তারা চেয়ারম্যান হচ্ছেন

প্রকাশ: ১০:৫২ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে আগামী  ৮ মে। গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

জানা গেছে, নোয়াখালীর হাতিয়া ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। সোমবার ( ২২ এপ্রিল ) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

হাতিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাঁরা হলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী, স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও জাতীয় পার্টির নেতা মুশফিকুর রহমান। গতকাল আশিক আলী ছাড়া বাকি দুজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। হাতিয়া উপজেলা পরিষদের বাকি দুটি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।

জানতে চাইলে মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর হাতে। তিনি ওই পরিবারের একজন সদস্যের মতো। মাঝখানে কিছু ভুল–বোঝাবুঝির কারণে দূরত্ব থাকলেও তা ঘুচে গেছে। আশিক আলীর সমর্থনে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জোড় করাতে তাঁর ছেলে প্রার্থী হয়েছেন। দলের অন্য কেউ আগ্রহ দেখাননি। ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিজ থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।

ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে দুজন গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন কেবল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহমেদ মজুমদার। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান ও পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার ও উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেম চৌধুরী।

ভাইস চেয়ারম্যান পদের চারজনের মধ্যে তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নুর মোহাম্মদ শফিকুল হোসেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ইকরামুল করিম মজুমদার, নজরুল ইসলাম ও আবদুল রসুল মজুমদার।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেত্রী শামসুন নাহার পাপিয়া। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন নিলুফা ইয়াসমিন।

এদিকে বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল চারজন প্রার্থীর মধ্যে তিনজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে রিটার্নিং এস এম কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন।

তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধ ও প্রচ্ছন্ন চাপে তাঁরা প্রার্থিতা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছেন। রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের তিনজন ও জনসংহতি সমিতির সাবেক এক নেতা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। চারজনের মনোনয়নই রিটার্নিং কর্মকর্তা বৈধ ঘোষণা করেছিলেন। প্রার্থীরা নিজেদের মতো করে প্রস্তুতিও নিয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর প্রার্থীরা জানিয়েছেন, গতকাল প্রত্যাহারের শেষ দিনে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের নেতারা তৎপর হয়ে ওঠেন। প্রার্থিতা তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে এবং প্রচ্ছন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন।



উপজেলা নির্বাচন   চেয়ারম্যান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন