নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল। কিন্তু সরকার গঠনের সময় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়নি ১৪ দলের শরিকদের। নির্বাচনের পর থেকে দৃশ্যত ১৪ দলের শরিকদের কোন কর্মকাণ্ডেও অন্তর্ভুক্ত করেনি আওয়ামী লীগ। ১৪ দলের ভবিষ্যৎ কী, সেটা নিয়েও পরিষ্কার কোন নির্দেশনা নেই। বিষয়গুলো নিয়ে ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে।
গতকাল বুধবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ১৪ দলের শরিকদের নিয়ে একটি উত্তপ্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম। বৈঠকে ১৪ দলের শরিকরা বলেছেন, ১৪ দলের ভূমিকা কী হবে তা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে তারা শুনতে চান এবং খুব শিগগিরই প্রধনামন্ত্রীর সঙ্গে একটি সাক্ষাতের বন্দোবস্ত করার জন্য বলেন।
বাংলাদেশ একটি পুলিশী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে অভিযোগ করে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘আমাদের যদি বিরোধী দল হিসেবে থাকতে হয় তাহলে আর ১৪ দল রাখার দরকার নেই। আমরা ১৪ দল থেকে বেরিয়ে যাই এবং সত্যিকারের বিরোধী দল হিসেবে কাজ করি।’ এসময় হাসানুল হক ইনু বলেন, ১৪ দলের ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে। ঐতিহাসিক কারণেই ১৪ দল থাকা প্রয়োজন। তবে ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। ১৪ দলের নীতি ও আদর্শ মেনে কাজ করা কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ’১৪ দলের নীতিমালার বাইরে আমাদের কারোর কোন বক্তব্য দেয়া ঠিক হবে না।’
গতকালের বৈঠকে স্পষ্টতই ১৪ দলের মধ্যে অসন্তোষ প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। খুব শিগগিরই যদি তারা প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ না পান তাহলে ১৪ দলের শরিকরা অবস্থান পাল্টাতে পারেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।