নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারের নাম ব্যবহার করা ভুয়া সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে অ্যাকশন গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা দশ বছর ক্ষমতায় থাকার ফলে বেশ কিছু সুবিধাভোগী গোষ্ঠী নানা নাম ও মোড়কে সংগঠন গড়ে তুলছে এবং তাদেরকে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন হিসেবে প্রচার করছে। সংগঠনগুলো বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি এবং দুষ্কর্ম করছে বলে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে বেরিয়ে এসেছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ২৫/২ ধারায় সহযোগী সংগঠনের কথা বলা হয়েছে। এখানে স্বীকৃত যেসব সংগঠনের কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশ আওয়ামী মহিলা লীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী কৃষক লীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, বাংলাদেশ তাতী লীগ ও বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ। এছাড়াও জাতীয় শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পৃথক গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদসহ কিছু পেশাজীবী সংগঠন রয়েছে যারা আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন না হলেও আওয়ামী লীগের স্বীকৃত সংগঠন হিসেবে কাজ করছে।
২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী পর থেকেই দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের নামে বেশ কিছু ভুয়া সংগঠন আত্মপ্রকাশ করেছে। এগুলো নানা অপকর্মের মাধ্যমে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। গোয়েন্দা সংস্থা এরকম বেশ কিছু সংগঠনের হদিস পেয়েছে। এরকম অন্তত ২৯৩টি ভুয়া সংগঠনের তালিকা আওয়ামী সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। এসব ভুয়া সংগঠনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য-আওয়ামী নবীন লীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী সোনার বাংলা লীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী প্রচার লীগ, আওয়ামী তরুণ লীগ, ডিজিটাল লীগ, জয় বাংলা মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ, বাংলা মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ, নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন লীগ, বাংলাদেশ রিকশা ভ্যান শ্রমিক লীগ, বঙ্গমাতা পরিষদ ইত্যাদি। জাতির জনক মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নামে কোন সংগঠন করতে গেলে মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অনুমোদন নিতে হবে। মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অনুমোদন ব্যতীত বঙ্গবন্ধু পরিবারের নামে কোন সংগঠন হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ট্রাস্টের সভায়।
দেখা যাচ্ছে যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, শেখ রাসেল, শেখ কামাল, শেখ জামালসহ বিভিন্ন নামে বিভিন্ন ভূঁইফোড় সংগঠন করা হয়েছে। এসব সংগঠনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী-এমপিরাও যোগদান করছেন। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সভাপতি কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে। যেসব সংগঠন ট্রাস্টের অনুমোদন না নিয়েই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নাম ভাঙিয়ে দোকান খুলেছে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ নামে একটি সংগঠন বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক উসকানি ছড়াচ্ছিল। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেয়া হয়, আওয়ামী ওলামা লীগ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কোন অঙ্গ সংগঠন বা সহযোগী সংগঠন নয়। আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের নামে গড়ে ওঠা এরকম ভুঁইফোড় সংগঠনগুলো খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের নামে শত শত ভুয়া সংগঠনের হদিস পেয়েছে এবং এসব সংগঠনের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
বিএনপি বিদ্রোহ উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
ঢাকার বনানীর বাসায় ফেরার পথে গাড়িচালক
আনসার আলীসহ ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল নিখোঁজ হন বিএনপির তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট
জেলা বিএনপির সভাপতি এম ইলিয়াস আলী। এক যুগ পার হলেও ইলিয়াস আলী জীবিত না মৃত সে খবর
কেউ দিতে পারেনি দীর্ঘ এই সময়ে।
তবে সিলেটের বিএনপি নেতারা মনে করেন,
ইলিয়াস সরকারের হেফাজতে অক্ষতই আছেন। তাকে ফিরে পেতে কেবল সরকারের সদিচ্ছার প্রয়োজন।
নিখোঁজের ১২ বছর পূর্তিতে তাকে ফিরে পেতে গতকাল নানা কর্মসূচি পালন করেছে সিলেট বিএনপি
ও অঙ্গ সংগঠন। ইলিয়াস আলী ‘নিখোঁজ’র পর সিলেটে গঠন করা হয় ‘ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম
পরিষদ’। এ বছর ‘ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ’র কোনো কর্মসূচি না থাকলেও সমাবেশ, স্মারকলিপি
প্রদান এবং দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন। এক যুগেও ইলিয়াসের সন্ধান
না মিললেও হাল ছাড়েননি বিএনপি নেতারা।
তাদের ধারণা, ইলিয়াস আলী এখনো জীবিত
আছেন। ইলিয়াসের অবস্থান সম্পর্কে সরকার জ্ঞাত আছে। কিন্তু সরকারের সদিচ্ছার অভাবে ইলিয়াস
আলীর সন্ধান মিলছে না। ইলিয়াস আলী নিখোঁজের এক যুগপূর্তির দিন গতকাল জেলা প্রশাসকের
মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে সিলেট বিএনপি। এ ছাড়া বাদ আসর জেলা
বিএনপির উদ্যোগে হজরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মসজিদে ইলিয়াস আলীর সন্ধান কামনায় দোয়া
ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া ইলিয়াসকে ফিরে পেতে বাদ জোহর একই মসজিদে দোয়া ও
মিলাদের আয়োজন করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল। স্মারকলিপি প্রদানের আগে গতকাল দুপুরে জেলা
প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে বিএনপি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর
ধরে ইলিয়াস আলী ফেরার অপেক্ষায় আছেন সিলেটবাসী। ইলিয়াসের জনপ্রিয়তায় আতঙ্কিত হয়ে সরকার
তাকে গুম করেছে।
ইলিয়াস নিখোঁজ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির
সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন বলেন, ইলিয়াস আলীর সন্ধান পেতে তার সহধর্মিণী
হাই কোর্টে রিট করেছিলেন। কিন্তু সরকারের অদৃশ্য হস্তক্ষেপে এক যুগেও সেই রিটের শুনানি
হয়নি। এতে প্রমাণিত হয় ইলিয়াস নিখোঁজের পেছনে সরকার জড়িত।
মন্তব্য করুন
খন্দকার মোশাররফ হোসেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জন বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে যে, মন্ত্রী এবং এমপিরা উপজেলা নির্বাচনে কোন প্রার্থীকে সমর্থন করতে পারবে না। তাদেরকে নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একই রকম বার্তা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে লিখিত নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। কিন্তু এই সমস্ত নির্দেশনা উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা উপজেলা নির্বাচনে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করাতে মাঠে নেমেছেন। এমনকি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নির্বাচনী এলাকাতেই এমপিরা প্রার্থীর নাম ঘোষণা করছেন।