নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর ড. কামাল হোসেন রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের চেষ্টা করছেন। এই মুহূর্তে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে নানারকম সমস্যা ও টানাপোড়েন চলছে। তাছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে বিএনপির অবস্থান নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নানা প্রশ্ন রয়েছে। একারণেই ড. কামাল হোসেন একটা নতুন রাজনৈতিক দলের চিন্তাভাবনা করছেন। যে দলে স্বাধীনতা বিরোধী, যুদ্ধাপরাধীরা থাকবে না। একটা সেক্যুলার শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার চেষ্টা করছেন ড. কামাল। এ ব্যাপারে তাঁকে সহযোগিতা করছে এবং পরামর্শ দিচ্ছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং বাংলাদেশের সুশীল সমাজের একাংশ।
ড. কামাল হোসেনের আকাঙ্ক্ষা ছিল যে ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের অবসান ঘটানো। কিন্তু জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জনগণের মধ্যে তেমন কোনো দাগ ফেলতে পারেনি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে ড. কামাল হোসেনের দল গণফোরাম নিজেরা বিশ্লেষণ করেছে তাতে মনে হয়েছে এবং তাঁরা বলছে সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক কর্মসূচি, জামাতের সঙ্গে সম্পর্কের অবস্থান, তারেক জিয়া নিয়ে বিতর্ক এই তিন কারণে তাঁদের প্রতি জনগণ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই নির্বাচনের পর এখন আন্দোলন সংগ্রামের আগে এখন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে ড. কামাল হোসেন এবং তাঁর সহযোগীরা। এই উদ্যোগে একটি প্রস্তাব এসেছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নতুন দল।
৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের পর বিএনপিতে টালমাটাল অবস্থা। বিএনপি ভাঙনের মুখোমুখি দাড়িয়ে আছে। বিএনপিতে একটি পক্ষ জামাতের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগে আগ্রহী, অন্য একটি পক্ষ জামাতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী। তারেকের নেতৃত্ব নিয়েও বিএনপি এখন দ্বিধাবিভক্ত অবস্থায় আছে। এরকম পরিস্থিতিতে বিএনপিতে উদারপন্থী এবং জামাত বিরোধী অংশকে ঐক্যফ্রন্টে নিয়ে এসে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যান্য দলগুলোকে একীভূত করে একটি নতুন রাজনৈতিক দলের মেরুকরণ শুরু হয়েছে বলে একাধিক রাজনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এখানে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির একটি উদারপন্থী অংশকে নিয়ে আসা, ঐক্যফ্রন্টের যে দলগুলো আছে সেগুলোকে একীভূত করা এবং ১৪দলের যে শরীকগুলো আছে যারা এখন নানা কারণে অসন্তুষ্ট ও বিক্ষুব্ধ তাঁদেরকে নিয়ে এসে একটি নতুন রাজনৈতিক কাঠামো করাই হলো সাম্প্রতিক সময়ে ড. কামাল হোসেনদের রাজনৈতিক লক্ষ্য। তবে গণফোরামের একাধিক সূত্র বলেছে যে, এই রাজনৈতিক লক্ষ্যটি একা ড. কামাল হোসেনের নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল এরকম একটি নতুন রাজনৈতিক দলের জন্য ড. কামাল হোসেনকে সহযোগিতা করছেন। একাধিক সূত্র বলছে, যেহেতু জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ব্যর্থ হয়েছে সেজন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট না রেখে ঐক্যফ্রন্টের আদলে ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাদা না রেখে একটি অভিন্ন রাজনৈতিক দলের অবয়ব দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। যেটি হবে রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের প্রধান বিরোধী শক্তি। বিএনপির একাধিক নেতা বলেছেন, বিএনপি এখন যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তাতে বিএনপি ভাঙন এখন সময়ের ব্যাপার। এরকম পরিস্থিতিতে বিএনপির অনেকেই জামাতের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করে আলাদা একটি প্লাটফর্মে দাঁড়াতে চাইছে। তবে এই নতুন রাজনৈতিক দল হবে না জোট হবে সেটি এখনও নিশ্চিত নয়।
বাংলা ইনসাইডার/এসআর
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে’।
মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হোক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।
ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচন সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।