নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরলেই কাউন্সিলের প্রক্রিয়া শুরু করবে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে, নির্বাচন, কাউন্সিল এবং দলের অন্যান্য কর্মসূচি সমান্তরালভাবে চলবে। আওয়ামী লীগ এ বছরই কাউন্সিল করতে চায়। আগামী বছর ‘মুজিব বর্ষ’ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। এর আগেই কাউন্সিল করে দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করতে চায় আওয়ামী লীগ। যেন সারাদেশেই জাতির পিতার শততম জন্মবার্ষিকী অত্যন্ত উৎসাহ, উদ্দীপনা এবং জাকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করা যায়।
আগামী এপ্রিল মাস থেকে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এপ্রিল থেকে ইউনিয়ন পর্যায় থেকে ধারাবাহিকভাবে উপজেলা, জেলা পর্যায়ে সম্মেলনের মধ্য আওয়ামী লীগ তৃণমূলের নেতৃত্বকে নতুন রূপে সাজাবে বলে দলটির একাধিক নেতা জানিয়েছেন।
যোগাযোগ করা হলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যেসকল এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কাউন্সিল হয়নি, সেসব জায়গায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাউন্সিল করার জন্য আমরা চিঠি দিচ্ছি। প্রত্যেকটা এলাকায় আমরা নবীন নেতৃত্ব বেছে নেবো। দীর্ঘদিন ধরে কাউন্সিল না হওয়ায় এসব এলাকায় দীর্ঘদিন কমিটি হয় না। সেখানে নতুন কমিটি করার প্রক্রিয়া আমরা শুরু করেছি। তিনি জানান যে, এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল শুরু হবে।
আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বহিরাগত এবং আওয়ামী লীগে যারা নতুন, তারা যেন নেতৃত্বে না আসতে পারে, সেজন্য কঠোর নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা কতগুলো নীতিমালা ভিত্তিতে একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছেন। প্রস্তাবটি আওয়ামী সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেয়া হবে। আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী বৈঠকে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। সেখানে প্রস্তাবটি অনুমোদিত হলে, এর ভিত্তিতেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের আগামীর নেতৃত্ব নির্বাচন হবে। নীতিমালায় যেসব বিষয় প্রস্তাব করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে:
১. ইউনিয়ন থেকে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের সভাপতি ও সাধারণ-সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য তাকে অবশ্যই ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ বা আওয়ামী লীগের অন্য কোন অঙ্গসংগঠন থেকে আসতে হবে। অথবা যিনি মাঠ পর্যায় থেকে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে এসেছেন তিনি স্থানীয় পর্যায়ের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক হতে পারবেন। হঠাৎ করে বাইরে থেকে কেউ এসে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বসতে পারবেন না।
২. উত্তরাধিকারের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। স্থানীয় পর্যায়ের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের পদের জন্য বিবেচ্যদের পিতা, পিতামহ বা নিকটাত্মীয় আওয়ামী লীগ করেন কি না সেটা দেখা হবে। যদি কারোর পিতা, পিতামহ বা নিকটাত্মীয় আওয়ামী লীগের না হলে বিশেষ করে তারা যদি বিএনপি বা জামাতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এমন তথ্য পাওয়া যায় তাহলে তাকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক না করার জন্য বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হবে।
৩. স্থানীয় নেতাদের ট্র্যাক রেকর্ড দেখা হবে। তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা, দুর্নীতি বা ভূমি দখল, নদী দখলের মতো কোন অভিযোগ আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হবে। একেবারে নিষ্কলুষ ব্যক্তিদের নেতৃত্বে আনতে চায় টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ।
৪. স্থানীয় পর্যায়ে যারা নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন কিন্তু দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করেছেন। বিনিময়ে কিছুই পাননি। এমন নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতে চায় আওয়ামী লীগ।
৫. যেসব নেতাকর্মীরা দলের দুঃসময়ে বিশেষ করে ২০০১ থেকে ২০০৬ এবং ২০০৭ এ ১/১১’র সময় দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তাদের স্থানীয় নেতৃত্বের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
৬. যারা দলের মধ্যে গ্রুপিং করেন না, অন্তর্কোন্দল এড়িয়ে চলেন তাদেরকে প্রাধান্য দেয়া হবে স্থানীয় পর্যায়ের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য।
আওয়ামী লীগের একাধিক সিনিয়র নেতা বলেছেন, আওয়ামী সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন, স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নির্বাচন হবে ভোটের মাধ্যমে। উপর থেকে চাপিয়ে দেয়া হবে না। আওয়ামী লীগ চায় সংগঠন স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিকশিত হোক। বিকাশের ধারায় আওয়ামী লীগের সত্যিকারের জনপ্রিয় নেতাকর্মী যেন নেতৃত্বে আসতে পারে সে বিষয়টা নিশ্চিত করা হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রলীগ থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুরু হয়। অনেক সময় দেখা যায়, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা স্থানীয় পর্যায়ে মূল্যায়ন পায় না। মূল সংগঠনে আসতে পারছে না। ছাত্রলীগ থেকে যেন মূল সংগঠনে আসার পাইপলাইন উন্মুক্ত হয় সে ব্যাপারে আমরা চেষ্টা করছি।
এছাড়াও সারাদেশে কাউন্সিলের জন্য আওয়ামী লীগ যে বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে তা হলো, সাংগঠনিক তৎপরতা যেন বেগবান হয়। আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের ধারণা, যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে, তখন স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা ক্ষমতা নানা সুবিধা ভোগ করার জন্য ব্যতিব্যস্ত থাকে। সংগঠনের দিকে মনযোগী হয় না। এজন্য আওয়ামী সভাপতি নির্দেশ দিয়েছেন, সংগঠনকে বেগবান ও গতিশীল করার জন্য কাউন্সিল প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করার। যাতে স্থানীয় পর্যায়ে সাংগঠনিক শক্তি অক্ষুণ্ন থাকে এবং সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। এ ধারায় এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আওয়ামী লীগ স্থানীয় পর্যায়ে সম্মেলনগুলো শেষ করবে। এছাড়াও কয়েকটি অঙ্গসংগঠনের কাউন্সিলও দীর্ঘদিন ধরে হয়নি। এগুলোর সম্মেলন শেষ করে আগামী অক্টোবরে আওয়ামী জাতীয় কাউন্সিল করতে চায়।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ঠ করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।
আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে আগামী ৮ মে। গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
জানা গেছে, নোয়াখালীর হাতিয়া ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। সোমবার ( ২২ এপ্রিল ) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
হাতিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাঁরা হলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী, স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও জাতীয় পার্টির নেতা মুশফিকুর রহমান। গতকাল আশিক আলী ছাড়া বাকি দুজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। হাতিয়া উপজেলা পরিষদের বাকি দুটি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
জানতে চাইলে মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর হাতে। তিনি ওই পরিবারের একজন সদস্যের মতো। মাঝখানে কিছু ভুল–বোঝাবুঝির কারণে দূরত্ব থাকলেও তা ঘুচে গেছে। আশিক আলীর সমর্থনে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জোড় করাতে তাঁর ছেলে প্রার্থী হয়েছেন। দলের অন্য কেউ আগ্রহ দেখাননি। ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিজ থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে দুজন গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন কেবল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহমেদ মজুমদার। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান ও পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার ও উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেম চৌধুরী।
ভাইস চেয়ারম্যান পদের চারজনের মধ্যে তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নুর মোহাম্মদ শফিকুল হোসেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ইকরামুল করিম মজুমদার, নজরুল ইসলাম ও আবদুল রসুল মজুমদার।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেত্রী শামসুন নাহার পাপিয়া। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন নিলুফা ইয়াসমিন।
এদিকে বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল চারজন প্রার্থীর মধ্যে তিনজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে রিটার্নিং এস এম কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন।
তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধ ও প্রচ্ছন্ন চাপে তাঁরা প্রার্থিতা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছেন। রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের তিনজন ও জনসংহতি সমিতির সাবেক এক নেতা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। চারজনের মনোনয়নই রিটার্নিং কর্মকর্তা বৈধ ঘোষণা করেছিলেন। প্রার্থীরা নিজেদের মতো করে প্রস্তুতিও নিয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর প্রার্থীরা জানিয়েছেন, গতকাল প্রত্যাহারের শেষ দিনে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের নেতারা তৎপর হয়ে ওঠেন। প্রার্থিতা তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে এবং প্রচ্ছন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন।
মন্তব্য করুন
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।