নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায়ের পর থেকে কারাগারে আছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কারাগারে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি গুলশান এভিনিউয়ের ৭৯ নম্বর রোডের ১ নম্বর বাসা ‘ফিরোজা’য় বসবাস করছিলেন। কিন্তু তিনি কারাগারে যাওয়ার পর থেকে সুনশান নীরবতা নেমে আসে বাড়িতে। এখন খালেদা জিয়ার বাড়িটি ছেড়ে দিতে হচ্ছে।
বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির পার্টি ফান্ড বা দলের নেতাদের পক্ষ থেকে পালাক্রমে বাড়িটির ভাড়া পরিশোধ করা হতো। কিন্তু গত ৮ মাস ধরে বাড়িটির ভাড়া বকেয়া রয়েছে। ভাড়া পরিশোধের দায়িত্ব এখন কেউ নিচ্ছে না। বাড়িটিতে কর্মরত ১৫ জন্য স্ট্যাফের বেতনও দেয়া হচ্ছে না। একইসঙ্গে বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ ও স্ট্যাফদের খাওয়াসহ আনুষঙ্গিক খরচও বিএনপির কোন নেতা দিচ্ছে না। এর ফলে স্ট্যাফরা একেক করে ছুটিতে চলে যাচ্ছে। বাড়িটি হয়ে গেছে অরক্ষিত। বাড়িটির রক্ষণাবেক্ষণও সম্ভব হচ্ছে না।
এসব কারণে বাড়িটির মালিক, যিনি ঢাকা মহানগর বিএনপির একজন নেতা বাড়িটি আবারও নিজের দায়িত্বে নিয়ে নিচ্ছেন। এ বিষয়ে তিনি খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে বিএনপির ঐ সূত্র জানিয়েছে। বাড়ির ভিতরের আসবাবপত্র আপাতত শামীম ইস্কান্দারে বাসা কিংবা অন্য কোথায় সরিয়ে নেয়ার জন্য কথা হচ্ছে। যেহেতু খালেদা জিয়ার আপাতত মুক্তির কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না, তাই ‘ফিরোজা’ ছাড়তে হচ্ছে খালেদাকে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।