নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
ডাকসু নির্বাচনে ভিপি এবং জিএস ছাড়া কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের মনোনয়নের জন্য আওয়ামী লীগের চার নেতাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই চারনেতাকে একটি খসড়া তালিকা তৈরির জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এই চারনেতা গতকাল এবং আজ দু’দফা বৈঠক করেছেন এবং তালিকা চূড়ান্তকরণের কাজ করছেন। ডাকসু নির্বাচনে ভিপি ও জিএস পদে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে মনোনীত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যান্য পদের মনোনয়নের জন্য যে চারজন নেতাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তারা হলেন: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান; আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন মোহাম্মদ নাছিম এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ডাকসুর সাবেক জিএস আখতারুজ্জামান। এরা সবাই বিগত সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রচার ও মনিটরিং টিমের সদস্য হিসেবে কাজ করেছিলেন।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ডাকসু ও হল সংসদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে আমরা জনপ্রিয় প্রার্থী এবং সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করে নেত্রীর কাছে একটি প্রস্তাব দেবো। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলেই তার কাছে এই তালিকা দেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ডাকসু নির্বাচনের মনোনয়নের জন্য প্রথমে দলের সিনিয়র নেতাদের দায়িত্ব দেয়ার একটি চিন্তাভাবনা ছিলো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরবর্তীতে এই দায়িত্ব এই চারনেতাকে দেন। এদের প্রত্যেকেই সাবেক ছাত্রনেতা ছিলেন। এদের মধ্যে আবদুর রহমান ও জাহাঙ্গীর কবির নানক ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বাহাউদ্দিন নাছিম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। আর আখতারুজ্জামান ডাকসুর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানাচ্ছে, এই চার নেতা মনোনয়ন চূড়ান্ত করার জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি- সাধারণ-সম্পাদক ছাড়াও ছাত্রলীগের প্রাক্তন নেতাকর্মী, হলের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। তারা আজকালের মধ্যে একটা খসড়া তালিকা তৈরি করবেন। প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল দেশে ফেরার পর এ তালিকা নিয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে। ঐ বৈঠকে ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি- সাধারণ-সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি- সাধারণ-সম্পাদক উপস্থিত থাকবেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।