নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০১ এএম, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আদর্শ ও সাংগঠনিক কাঠামোয় ব্যাপক সংস্কারের জন্য দলের মহাসচিব ডা. শফিকুর রহমানের ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। জামাতের অভ্যন্তরীণ সূ্ত্রে জানা গেছে, তারা সারাদেশ থেকে তথ্য ও মতামত সংগ্রহ করছে। তারা দুটি বিকল্প নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে।
প্রথমত; জামায়াতে ইসলামী থাকবে তবে তারা কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে না। তারা স্বাস্থ্যসেবা, ছাত্রবৃত্তি, কৃষিতে সহযোগিতার মতো শুধুমাত্র সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে। দ্বিতীয়ত; আলাদা একটি রাজনৈতিক দল হবে, বর্তমান সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য করে যেটার গঠনতন্ত্র করা হবে।
রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য জামাত একটি নতুন গঠনতন্ত্র তৈরি করবে যেটা আমাদের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে অন্যান্য বিষয় অন্তর্ভুক্ত একটি পরিপূর্ণ গঠনতন্ত্র তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এজন্য তারা একটি আইনজীবী প্যানেল তৈরি করছে। এই প্যানেলের জন্য যেসব আইনজীবীর সঙ্গে তারা যোগাযোগ করছে তাদের মধ্যে জামাতপন্থী কোন আইনজীবী নেই। এদের মধ্যে রয়েছেন, ড. কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট শাহদীন মালিক এবং অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। তাদেরকে নিয়ে তৈরি প্যানেলের মাধ্যমে জামাতের গঠনতন্ত্র তৈরি করা হবে যেন নির্বাচন কমিশনে গঠনতন্ত্র নিয়ে কোন সমস্যা না হয়।
সারাদেশ থেকে প্রাপ্ত মতামত থেকে জামাত সিদ্ধান্ত নেবে জামাত তার গঠনতন্ত্র বিলোপ করে নতুন দল করবে নাকি বর্তমান জামাতকেই আমূল পরিবর্তন করবে? যেটাই করুক না কেন, জামাত একটি নতুন গঠনতন্ত্র এবং ঘোষণাপত্র তৈরি করবে এবং এর জন্য একজন আইনজীবী অথবা একটি আইনজীবী প্যানেল তৈরি করবে। প্যানেল থেকে যে তিনজনকেই বা যে কোন একজনকে তারা নিয়োগ দিতে পারে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।