নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। ১৯৭৫ সালের পর থেকে নানা রকম কোন্দল, বিতর্কের জেরে ১৯৮০ সালে ভাঙন ধরে জাসদে। এর ফলে তারা হারিয়ে ফেলে তাদের পুরনো সেই জৌলুস। তিন ভাগে ভাগ হয়ে যায় জাসদ। তারা এখন আর আদর্শিক কোন কারণ নয়, বরং ক্ষমতা ভাগাভাগির নেশায় বারবার বিভক্ত হয়েছে এবং একেকসময় একেক দলের কাছে ধর্না দেয়। তবে প্রাক্তন জাসদের একটি গ্রুপ জাসদকে একীভূত করার উদ্যোগ নিয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদে ১৪ দলের হয়ে নির্বাচন করেও যখন মন্ত্রিসভায় ইনু ও আম্বিয়ার জাসদের জায়গায় হয়নি, তখন তাদের মধ্যে অপ্রাপ্তি ও অতৃপ্তিকে কাজে লাগিয়ে আ স ম আবদুর রবের জাসদের সঙ্গে তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করার একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জাসদের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে। অখণ্ড জাসদের সময় যারা ছাত্রনেতা ছিলেন, বর্তমানে ব্যবসায় বা অন্যপেশার সঙ্গে যুক্ত আছেন কিন্তু জাসদের রাজনীতির সঙ্গে সংযুক্ত নন তারাই এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানা গেছে। তারা মনে করছেন, যেহেতু বিএনপির এখন মরণাপন্ন অবস্থা এবং দেশে বৃহৎ বিরোধী কোন রাজনৈতিক দল নেই। কাজেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটা ঐক্যবদ্ধ জাসদ যদি করা যায় তাহলে তারা আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারবে।
এই গ্রুপটি ভিন্ন ভিন্নভাবে তিন জাসদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং সবাই এ ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। তিন জাসদকে এক করার জন্য তারা অনানুষ্ঠানিকভাবে তিন জাসদের সঙ্গে বৈঠক করবে এবং এরপর আনুষ্ঠানিক একটি বৈঠকের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানা গেছে। উদ্যোগ গ্রহণকারীদের মধ্যে আছেন একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার একজন নির্বাহী পরিচালক, যিনি একসময় জাসদ করতেন; একজন চিকিৎসক যিনি একসময় জাসদ ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন এবং একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, যিনি একসময় জাসদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
তবে নাম প্রকাশে জাসদের একজন নেতা বলেছেন, এটা কেবল প্রাথমিক পর্যায়ে শুরু হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন হতে সময় লাগবে। জাসদ মনে করছে, জাসদকে নতুনরূপে শক্তিশালী রূপে প্রকাশের এখনই সময়। সেটা করতে পারলে সংসদে বিরোধী অভাবটা তারা ভালোভাবে পূরণ করতে পারবে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।