ইনসাইড পলিটিক্স

প্রায় ‘কমিউনিস্ট’ মুক্ত আওয়ামী লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

২০০৮ এর নির্বাচনে বিজয়ের পর আওয়ামী লীগে আওয়াজ উঠেছিল ‘কমিউনিস্ট’ খেদাও। আওয়ামী লীগ সংগঠনের মধ্যে ‘কমিউনিস্ট’রা অত্যন্ত প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিল। কিন্তু ২০১৯ সালে এসে ‘কমিউনিস্ট’রা আওয়ামী লীগ থেকে বিতারিত প্রায়। আওয়ামী লীগের মধ্যে হাতেগোণা যে কয়েকজন ‘কমিউনিস্ট’ আছেন তাঁরাও দলের মধ্যে কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছেন। আওয়ামী লীগে যারা ছাত্র ইউনিয়ন, কমিউনিস্ট পার্টি বা  ন্যাপ  থেকে যোগ দিয়েছেন তাদেরকেই আওয়ামী লীগের লোকজন ‘কমিউনিস্ট’ বলে। ২০০৮’র নির্বাচনের পর ছাত্র ইউনিয়ন, কমিউনিস্ট পার্টি বা ন্যাপ থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া লোকজনের প্রভাব প্রতিপত্তি অনেক বেড়েছিল বলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন এবং ২০১৯ সালে এসে সেই ‘কমিউনিস্ট’ দূর্গের পতন হয়েছে বলে নেতাকর্মীরা মনে করেন। 

আওয়ামী লীগের সঙ্গে ‘কমিউনিস্ট’ পার্টির সম্পর্ক ঐতিহাসিক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যখন সারাদেশ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরেছিল সেই মুক্তিযুদ্ধে কমরেড মনি সিংয়ের নেতৃত্বে ‘কমিউনিস্ট’ পার্টি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছিল। সোভিয়েতপন্থি বামদলগুলো (কমিউনিস্ট পার্টি, ন্যাপ) তাঁরা সম্মিলিতভাবে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সংগ্রাম করেছিল। ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, সোভিয়েত ইউনিয়নসহ ‘কমিউনিস্ট’ দেশগুলো যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে দ্রুত সমর্থন দিয়েছিল এর পেছনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল এদেশের কমিউনিস্ট পার্টি এবং বাম ঘরানার দলগুলো। জাতির পিতার নেতৃত্বে এদেশ স্বাধীন হওয়ার পর কমিউনিস্ট পার্টি, ছাত্র ইউনিয়ন, ন্যাপ স্লোগান তুলেছিল যে, ‘লাখো শহীদের মুক্ত স্বদেশ, এসো দেশ গড়ি বঙ্গবন্ধুর ডাকে।‘ তাঁরা এদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে কাজ করেছিল। ’৭৫ সালে জাতির পিতা যখন বাকশাল গঠন করে তখন কমিউনিস্ট পার্টি, ন্যাপ তাঁদের দল বিলোপ করে এই বাকশালে যোগ দিয়েছিল এবং বাকশাল গঠনের ক্ষেত্রে মস্কোপন্থি বামদলগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করেন। ৭৫ এর পর জাতির পিতার হত্যার যারা প্রতিবাদ করেছিল তাঁরা হলো এই মস্কোপন্থি রাজনৈতিক জোট ও বাম জোটগুলো। ৭৫ এর ১৫ই আগস্টের পর আওয়ামী লীগের ওপর যেমন জুলুম নিপীড়ন নেমে এসেছিল ঠিক তেমনিভাবে জুলুম নির্যাতন নেমে এসেছিল সিপিবি, ন্যাপসহ কমিউনিস্টপন্থি বামদলগুলোর ওপর। মস্কোপন্থি কমিউনিস্ট পার্টিকে জিয়াউর রহমান নিষিদ্ধও ঘোষণা করেছিল। এই সময়েও কমিউনিস্টদের সঙ্গে আওয়মী লীগের রাজনৈতিক সম্পর্ক নষ্ট নয়নি বরং আরও প্রগাঢ় হয়েছে। যদিও কমিউনিস্টদের মধ্যে এই সময়ে বেশকিছু বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। তাঁরা জিয়াউর রহমানের খাল কাটা বিপ্লবেও অংশগ্রহণ করেছিল। কমিউনিস্ট পার্টি এবং ছাত্র ইউনিয়নের ওই সময়ের প্রাক্তন নেতৃবৃন্দ মনে করেন যে, এটা ছিল তাঁদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য কৌশল। জিয়াউর রহমানের রোষানল থেকে বাঁচার জন্য তাঁরা এটা করেছিলেন। তবে কমিউনিস্ট পার্টি ও আওয়ামী লীগের এই সখ্যতার আড়ালে তাঁদের বিরোধেরও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট রয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন। ১৯৭৪ সালে পয়লা জানুয়ারি ভিয়েতনামে মার্কিন আগ্রাসনের প্রতিবাদে ছাত্র ইউনিয়ন মার্কিন দূতাবাস ঘেরাওয়ের অভিযান পরিচালনা করলে সেখানে পুলিশ গুলি ছোড়ে এবং একজন মারা যায়। এরপর তৎকালীন ডাকসুর ভিপি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ডাকসু ভবনে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি নামিয়ে ফেলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। যদিও মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম মনে করেন যে, সেটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল। ৭৫’র ১৫ই আগস্টের পর মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমই হলেন প্রথম ব্যক্তিদের একজন যিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন। ৭৫’র পরবর্তীতে ১৯৮১ সালে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে শেখ হাসিনা দেশে ফেরেন তখন তাঁর বিশ্বস্ত মিত্র ছিল কমিউনিস্ট পার্টি। মোহাম্মদ ফরহাদের সঙ্গে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তোলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। পর্যায়ক্রমে গড়ে ওঠে ১৪ দল এবং এই ১৪ দলের নেতৃত্বেই স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন হয়। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগ এবং কমিউনিস্ট পার্টিই ছিল সবচেয়ে বিশ্বস্ত এবং পরীক্ষিত মিত্র।

রাজনৈতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, ২০০১ সাল থেকে সিপিবি, ছাত্র ইউনিয়ন, ন্যাপ থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করার সংখ্যা ছিল উল্লেখ করার মতো। ২০০৭ সালে যখন ওয়ান ইলেভেনের বিপর্যয় আসে তখন আওয়ামী লীগে যারা ‘কমিউনিস্ট’ হিসেবে পরিচিত তাঁদের ভূমিকাই ছিল বিস্বস্ততার এবং আস্থার। তাঁরাই মাইনাস ফর্মূলার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার হয়েছিল।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভিন্ন পর্যায়ে, বিভিন্ন  বাঁকে কমিউনিস্ট, ন্যাপ এবং ছাত্র ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ৭৫ এর ১৫-ই আগস্টের পরে মস্কোপন্থি বাম দলগুলো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি বড় অংশ আওয়ামী লীগে যোগ দেয়। এই প্রবাহ, ধারা বন্ধ হয়নি। বিভিন্ন সময়ে কমিউনিস্ট পার্টি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন নুরুল ইসলাম নাহিদ, আব্দুল মান্নান খানসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। এই নেতাকর্মীরাই ২০০৭ সালে যখন শেখ হাসিনার রাজনৈতিক নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে, তথাকথিত মূল আওয়ামী লীগ যখন তাঁকে মাইনাস করার তত্ব হাজির করে তখন এই আওয়ামী লীগের কমিউনিস্টরাই সেটার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল। তখন মতিয়া চৌধুরী, আব্দুল মান্নান খান, নুরুল ইসলাম নাহিদসহ প্রমুখ বাম ঘরানা থেকে আসা নেতৃবৃন্দই শেখ হাসিনার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন। একারণেই ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারে ‘কমিউনিস্ট’ থেকে আসা আওয়ামী লীগারদের জয়জয়কার দেখা যায়। এটা নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে ক্ষোভ এবং নানারকমের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। এরপর আওয়ামী লীগ যখন দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হয় তখন কমিউনিস্টিদের প্রভাব কিছুটা কমে গেলেও বেগম মতিয়া চৌধুরী, নুরুল ইসলাম নাহিদের মতো স্বীকৃত কমিউনিস্ট পার্টি এবং ছাত্র ইউনিয়ন করা লোকজন মন্ত্রিসভায় ছিলেন। মন্ত্রিসভায় ‘কমিউনিস্ট’ পার্টির যে প্রভাব সেটা মোটামুটি অক্ষুণ্ণ অবস্থায়ই ছিল। কিন্তু ২০১৯ সালে এসে মন্ত্রিসভায় শুধু না, তথাকথিত কমিউনিস্টদের অবস্থান সঙ্কুচিত হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামে একমাত্র মতিয়া চৌধুরী ছাড়া আর কোনো সদস্য নাই। তিনিও রাজনীতিতে অন্তিমলগ্নে আছেন। এবার তিনি মন্ত্রিসভাতে অন্তর্ভূক্ত হননি। ছাত্রইউনিয়ন এবং কমিউনিস্ট পার্টি থেকে আসা নুরুল ইসলাম নাহিদ এবার মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভূক্ত হননি। আব্দুল মান্নান খান প্রেসিডিয়ামে আছেন। কিন্তু তাঁর গুরুত্ব খুবই কম বলেই জানা গেছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে। ২০০৮এ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর  থেকে কমিউনিস্ট পার্টি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানের হার প্রায় শূন্যতে নেমে এসেছে। কমিউনিস্ট পার্টি এখন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবেই কাজ করছে। বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের কট্টর সমালোচক হিসেবেই কমিউনিস্ট পার্টি আবির্ভূত হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, আওয়ামী লীগের যে গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল ধারা সেই ধারাকে অক্ষুণ্ণ রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে কমিউনিস্ট পার্টি, ছাত্র ইউনিয়নসহ বাম প্রগতিশীল দলগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। বিভিন্ন সময়ে বাম প্রগতিশীল ঘরানার দলগুলো থেকে আওয়ামী লীগে যারা যোগদান করেছিল তাঁরাই আওয়ামী লীগকে প্রগতিশীল এবং সমাজতান্ত্রিক ধারায় রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এখন তাঁদের এই যোগদানের ধারা কমে গেলে আওয়ামী লীগ ক্রমশ দক্ষিণপন্থিদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে কিনা এনিয়েও জল্পনা কল্পনা রয়েছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামসহ দক্ষিণপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোর সখ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, আওয়ামী লীগ কি তাঁর প্রগতিশীল শক্তি হারিয়ে ফেলেছে? সেজন্যই কি বাম ঘরানা থেকে আসা আওয়ামী লীগারদের কদর কমে গেছে দলে?


বাংলা ইনসাইডার/এসআর

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ব্যারিস্টার খোকনের অব্যাহতি নিয়ে বিএনপিতে বিভক্তি

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত বিরোধ ও তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে মত বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের অনেকের। সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে তুমুল জনপ্রিয় এই নেতাকে বাদ দেওয়ায় ফোরামের নেতাদের ওপর ক্ষুব্ধ বিএনপির সিনিয়র নেতারাও। এ নিয়ে বিএনপিতে এখন বিভক্ত স্পষ্ট।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলটির দুজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, তাদের কাছে মনে হয়েছে বিষয়টি নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে। ব্যারিস্টার খোকন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাতবারের সম্পাদক। তিনি দলেরও একজন সিনিয়র নেতা। তার মতো নেতাকে এভাবে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দিয়ে অসম্মানিত করাটা মোটেই ঠিক হয়নি। 

বিএনপি নেতারা বলছেন, ফোরামের ভেতরকার অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে মাহবুবউদ্দিন খোকনকে কোণঠাসা করার অপচেষ্টা করছে একটি পক্ষ। ওই পক্ষটি ফোরামের একক নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে। যেটি খোকনের জনপ্রিয়তার কাছে আদৌ সম্ভবপর হয়ে উঠছে না, সেটিও তারা জানে।  

অন্যদিকে ব্যারিস্টার খোকনের সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের সেক্রেটারি ব্যারিস্টার কায়সার কামালকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বক্তব্য দেওয়াটাও সমীচীন হয়নি বলে মনে করেন কেউ কেউ। 

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন তার অব্যাহতি নিয়ে কোনো কথা বলেননি। তিনি ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন ব্যারিস্টার কায়সার কামালের বিরুদ্ধে। যা নিন্দনীয় ও অরুচিকর। তার মতো সিনিয়র নেতার কাছে এমনটা আশা করিনি। 

উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার কায়সার কামালকে অর্বাচীন বালক ও কুলাঙ্গার আখ্যায়িত করে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন বলেন, সময় এসেছে তাকে দল থেকে বহিস্কারের। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশেই তিনি বার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন এবং দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বলেও দাবি করেন খোকন। কায়সার কামালের নৈতিক স্খলনের দায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটিকে অনুসন্ধানের আহবানও জানান বিএনপি থেকে নবনির্বাচিত বার সভাপতি খোকন। 

এর আগে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করায় বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব খোকনকে ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে চিঠি দেওয়া হয় গত শনিবার। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে তাকে অব্যাহতির কথা জানানো হয়। এ নিয়ে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামালের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন খোকন। তিনি কায়সার কামালকে ‘অর্বাচীন বালক’ বলে আখ্যায়িত করেন। নৈতিক স্খলনের কারণে দল থেকে কায়সার কামালের বহিষ্কারও দাবি করেন।

ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড নেওয়া হচ্ছে বিএনপি নেতা মিন্টুকে

প্রকাশ: ০৫:৫৪ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে তিনি থাই এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজে থাইল্যান্ড রওনা হয়েছেন।

বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে তার চিকিৎসা সেবা নেওয়ার কথা হয়েছে।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল বুকে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মিন্টু ।

১৯ এপ্রিল রাত ২টার দিকে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

থাইল্যান্ড   আবদুল আউয়াল মিন্টু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জামায়াতে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

প্রকাশ: ০৪:১৩ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহে হিট অ্যালার্টের মধ্যে আল্লাহর রহমতের বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়ের কর্মসূচি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, সম্প্রতি প্রচণ্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টিতে দেশের আবহাওয়া অত্যন্ত উষ্ণ হয়ে পড়েছে। উচ্চ তাপমাত্রার কারণে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। একদিকে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে প্রচণ্ড গরম, অন্যদিকে অনাবৃষ্টিতে মানুষ, পশু-পাখি ও জীব-জন্তুর জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। একমাত্র মহান রাব্বুল আলামীনই আমাদেরকে এহেন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ দিতে পারেন। 

তিনি আরও বলেন, সারা দেশের মানুষ গরমে কষ্ট পাচ্ছে। বিশেষ করে কৃষক-শ্রমিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার শ্রমজীবী মানুষ কর্মক্ষেত্রে প্রচণ্ড গরমে কষ্ট পাচ্ছে। গত ২২ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে একজন রিকশাওয়ালা প্রচণ্ড গরমে মারা গেছেন। দেশে বিরাজমান এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য মহান আল্লাহ তাআলার অবারিত রহমত তথা বৃষ্টি কামনা করে সালাতুল ইস্তিসকার নামাজ করার জন্য ওলামায়ে কেরাম, জামায়াতের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও দেশবাসী সবার প্রতি আমরা উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। 

এই জামায়াত নেতা বলেন, এ জন্য আগামীকাল বুধবার ও বৃহস্পতিবার (২৪ ও ২৫ এপ্রিল) জামায়াতে ইসলামীর সকল সাংগঠনিক শাখার উদ্যোগে জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে সালাতুল ইস্তিসকার আদায়ের কর্মসূচি সফল করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

জামায়াত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশবিরোধী অপশক্তি ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ঠ করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।


আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন: ভোট ছাড়াই তারা চেয়ারম্যান হচ্ছেন

প্রকাশ: ১০:৫২ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে আগামী  ৮ মে। গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

জানা গেছে, নোয়াখালীর হাতিয়া ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। সোমবার ( ২২ এপ্রিল ) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

হাতিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাঁরা হলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী, স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও জাতীয় পার্টির নেতা মুশফিকুর রহমান। গতকাল আশিক আলী ছাড়া বাকি দুজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। হাতিয়া উপজেলা পরিষদের বাকি দুটি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।

জানতে চাইলে মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর হাতে। তিনি ওই পরিবারের একজন সদস্যের মতো। মাঝখানে কিছু ভুল–বোঝাবুঝির কারণে দূরত্ব থাকলেও তা ঘুচে গেছে। আশিক আলীর সমর্থনে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জোড় করাতে তাঁর ছেলে প্রার্থী হয়েছেন। দলের অন্য কেউ আগ্রহ দেখাননি। ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিজ থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।

ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে দুজন গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন কেবল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহমেদ মজুমদার। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান ও পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার ও উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেম চৌধুরী।

ভাইস চেয়ারম্যান পদের চারজনের মধ্যে তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নুর মোহাম্মদ শফিকুল হোসেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ইকরামুল করিম মজুমদার, নজরুল ইসলাম ও আবদুল রসুল মজুমদার।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেত্রী শামসুন নাহার পাপিয়া। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন নিলুফা ইয়াসমিন।

এদিকে বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল চারজন প্রার্থীর মধ্যে তিনজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে রিটার্নিং এস এম কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন।

তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধ ও প্রচ্ছন্ন চাপে তাঁরা প্রার্থিতা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছেন। রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের তিনজন ও জনসংহতি সমিতির সাবেক এক নেতা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। চারজনের মনোনয়নই রিটার্নিং কর্মকর্তা বৈধ ঘোষণা করেছিলেন। প্রার্থীরা নিজেদের মতো করে প্রস্তুতিও নিয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর প্রার্থীরা জানিয়েছেন, গতকাল প্রত্যাহারের শেষ দিনে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের নেতারা তৎপর হয়ে ওঠেন। প্রার্থিতা তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে এবং প্রচ্ছন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন।



উপজেলা নির্বাচন   চেয়ারম্যান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন