নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩০ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
ডাকসু নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যে প্যানেল ঘোষণা করেছে বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল যদিও এ বিষয়ে কিছুই জানেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বা দলটির অন্য কোন সিনিয়র নেতা। তাদেরকে অন্ধকারে রেখে লন্ডনে পলাতক দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সঙ্গে আলোচনা করে ছাত্রদল প্যানেল নির্ধারণ করেছে বলে বিএনপির বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে।
বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম ছাত্রদলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলেন এবং ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেল গঠনের বিষয়ে কীভাবে কী করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করার আহ্বান জানান। সেসময় ছাত্রদল তাকে জানায়, ‘ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আপনার চিন্তা করার দরকার নেই। আমরা ভাইয়ার (তারেক জিয়া) সঙ্গে কথা বলে প্যানেল চূড়ান্ত করে ফেলেছি।’ এরপর মির্জা ফখরুল বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের কাউকেই এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি বলে মির্জা ফখরুলকে জানান। এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম খান ছাত্রদলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাকেও একই কথা বলে ছাত্রদলের নেতারা।
ছাত্রদলের অতীত ইতিহাস দেখলে দেখা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক ছাত্রদলের যে কোন কর্মকাণ্ডে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে যুক্ত করা হয়। সর্বশেষ ১৯৯০ সালে সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আমানউল্লাহ আমান ও খায়রুল কবির খোকন নির্বাচিত হওয়ার সময়ও সবকিছু তদারকি করেছিলেন খন্দকার মোশাররফ। কিন্তু এবার তাকেও কিছু জানানো হয়নি। এটা নিয়ে খন্দকার মোশাররফ ছাত্রদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ কররে তারা বলেন, ‘স্যার, এটা নিয়ে আপনাদের নাক গলানো লাগবে না। আপনাদের পরামর্শ মতো নির্বাচন করলে জাতীয় নির্বাচনে আপনাদের মতো আমরা ৮ সিট পাবো।’
এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল ক্ষুব্ধ হয়ে যান এবং কমিটি বাতিলের হুঁশিয়ারি দেন। তিনি তখন তারেক জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখন তারেক জিয়া তাকে বলেন, ‘ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল আপনাদের বিষয় নয়। বিএনপিতে আপনারা যা করতেছেন তাই-ই করতে থাকেন। ছাত্রদল বা ডাকসু নির্বাচন থেকে আপনারা দূরে থাকুন।’
এসব কারণেই ডাকসু নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কোন রকম বক্তব্য বিবৃতি বা কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রয়েছেন বলে জানিয়েছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।