নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
১/১১’র সময় শেখ হাসিনার নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল। দলের একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা প্রকাশ্যে শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন। তারা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিয়েছিলেন। এরকম তথ্য উঠে এসেছে এবারের বইমেলায় প্রকাশিত ‘এক এগারো’ শীর্ষক গ্রন্থে। গ্রন্থটি লিখেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও দক্ষিণ কোরিয়ার সুংকোংহে বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মাস্টার্স ইন এনজিও স্টাডিজ’ কোর্সের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমদ।
‘এক এগারো’ বইয়ের ১৬৮ ও ১৬৯ পাতায় বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সংস্কার কর্মসূচি দ্রুত শেষ করে জুনের (২০০৭) মধ্যে নির্বাচন দাবি করেন। অন্যদিকে বিএনপি চায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদের ছয় মাসের মধ্যে, অর্থাৎ ১১ জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন। এত অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন দাবি করায় শেখ হাসিনা দলের মধ্যে সমালোচিত হন। ৪ মার্চ দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় প্রেসিডিয়াম সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, এ সরকার ভোটার আইডি কার্ডসহ বিভিন্ন সংস্কার করছে, সব দাবি মানছে। এ কাজগুলো শেষ করার জন্য সরকারকে সময় দেওয়া দরকার । জুনের মধ্যে নির্বাচন করা বাস্তবসম্মত নয়। প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রাজ্জাকও শেখ হাসিনার সমালোচনা করে বলেন, দেশি-বিদেশি সব মহলেই যোগাযোগ রেখে আপনার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা উচিত ছিল। আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এ এইচ এন আশিকুর রহমান দলের মধ্যে যৌথ সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় অংশীদার। তাই তাদের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। ‘কারণ আমরা বঙ্গভবনে গিয়ে তাদের বৈধতা দিয়ে এসেছি।’ প্রেসিডিয়াম সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মন্তব্য করেন, ‘দেশের সুশীল সমাজ প্রগতিশীল। তারা সব সময়ই আন্দোলন-সংগ্রামে আমাদের সঙ্গে ছিল। আমাদের সঙ্গে যেন কোনোভাবেই তাদের ব্যবধান তৈরি না হয়। এখন কোনো রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় নেই। এ পরিস্থিতিতে সুশীল সমাজ বড় ভূমিকা রাখতে পারে।’ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুকুল বোস শে হাসিনার উদ্দেশে বলেন, ‘নেত্রী, আপনার বক্তব্য দেওয়ার সময় সতর্ক হওয়া। উচিত।’ জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের সময়সীমা বেঁধে না দিলে আরও কালক্ষেপণ করতে পারে। আমরা তাদের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানকে স্বাগত ও সমর্থন জানিয়েছি। তাদেরও উচিত সংস্কারের পাশাপাশি মূল কাজ নির্বাচনপ্রক্রিয়া শুরু করা।’
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।