নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
ভারত-পাকিস্তানের স্নায়ূযুদ্ধে পাকিস্তান বিএনপিকে পাশে চায়। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রীতিমতো যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়েছে। থমথমে অবস্থার মধ্যে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। সীমান্তে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে। বাস্তবিক যুদ্ধ কতটুকু হবে সেটা সময়ই বলে দেবে। তবে এখন স্নায়ূযুদ্ধ চরম আকার ধারণ করেছে।
স্নায়ুযুদ্ধের সবচেয়ে বড় দিক হলো কূটনৈতিক লড়াই। ভারত প্রথমে চেষ্টা করেছিল আইসিসির মাধ্যমে পাকিস্তানকে ক্রিকেট দুনিয়া থেকে নিশ্চিহ্ন করার। কিন্তু তাদের সে চেষ্টা সফল হয়নি। দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে হস্তক্ষেপ করতে নারাজ আইসিসি। এখন ভারত চেষ্টা করছে, উপমহাদেশের দেশগুলোকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাট্টা করতে। পাকিস্তানও এ ব্যাপারে বসে নেই বলে বিভিন্ন কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে। পাকিস্তান চাইছে, বিভিন্ন দেশের ভারতবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলতে এবং সেখানে সবচেয়ে বড় টার্গেট হলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশে একটা সময় পর্যন্ত ভারতবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর একটা সোচ্চার গ্রুপ ছিল। বিএনপি, জামাত ইসলামসহ ইসলাম পছন্দ দলগুলোর ভারতের বিপক্ষে একটি শক্তিশালী অবস্থান ছিল। এই দলগুলো যে কোন ইস্যুতে ভারতবিরোধী বক্তব্য-বিবৃতি প্রদানের মাধ্যমে একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করতো এবং কূটনৈতিক দিক থেকে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো নীরব। জামাতের আগের সেই শক্তি আর নেই। ইসলাম পছন্দ দলগুলোও এখন ভারতের বিরোধিতা করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। আর ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিপর্যস্ত অবস্থায় সময় পার করছে বিএনপি।
এর মধ্যেই পাকিস্তান চাইছে, বিএনপিসহ কিছু দলকে ভারতবিরোধী মনোভাবে চাঙ্গা করে তুলতে। বিভিন্ন ইস্যুতে তারা যেন ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলে। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, লন্ডনে এবং ঢাকায় বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে পাকিস্তানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কথা হয়েছে। লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সঙ্গে এবং ঢাকায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে পাকিস্তান দূতাবাসের বৈঠক হয়েছে বলে জানা গেছে।
এসব বৈঠকে বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ভারতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা নিয়ে কথা বলার জন্য পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বিএনপিকে অনুরোধ করা হয়েছে। এসব বিষয়ের মধ্যে রয়েছে, সীমান্তে সহিংসতা, তিস্তা পানি চুক্তি এবং বাংলাদেশে ভারতের কথিত আগ্রাসন নিয়ে যেন তারা কথা বলে এ ব্যাপারে অনুরোধ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তাদের মধ্যে যদি সমঝোতা হয় তাহলে দেখা যাবে খুব শিগগিরই বিএনপি এবং আরও কিছু রাজনৈতিক দল ভারতের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বিএনপি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শামা ওবায়েদ সারাহ কুক
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-এমপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনাটি জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপি পরিবারের সদস্য স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না। এটি আওয়ামী লীগ সভাপতির একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যন্ত যে পরিবারতন্ত্র ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিভিন্ন জায়গায় যে জমিদারি প্রথা তৈরির শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল সেটা প্রতিরোধের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতির এই উদ্যোগ তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।